
ইসরায়েল থেকে ট্রাম্প, ইলন মাস্ককে হত্যার হুমকি অ্যামেরিকান তরুণের

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৬ ২০২৫, ২০:৫৩

অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইলন মাস্ক। ছবি: রয়টার্স
- 0
নিউমেয়ার তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কয়েক মাস ধরে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ফেডারেল প্রসিকিউটররা।
ইসরায়েলে অবস্থান করে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা ইলন মাস্ককে হত্যার হুমকি দিয়েছেন অ্যামেরিকার এক নাগরিক।
হত্যার হুমকির পাশাপাশি তেল আবিবে অ্যামেরিকান দূতাবাসের শাখা অফিসে আগুন ধরানোর চেষ্টাও করেছেন ২৮ বছর বয়সী জোসেফ নিউমেয়ার।
নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজ জানায়, নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রুকলিনের ফেডারেল প্রসিকিউটররা রবিবার এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নিউমেয়ার তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে কয়েক মাস ধরে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ফেডারেল প্রসিকিউটররা।
এ তরুণের স্ট্যাটাসগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘আমরা ট্রাম্প ও মাস্ককে এখনই হত্যা করতে যাচ্ছি’, ‘ট্রাম্পের মৃত্যু, অ্যামেরিকার মৃত্যু’ ও‘পদত্যাগের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্টের হাতে কয়েক ঘণ্টা আছে অথবা মৃত্যু নিশ্চিত’।
গত ১৯ মে অ্যামেরিকান দূতাবাসে আগুন ধরানোর আহ্বান জানিয়ে নিউমেয়ার বলেন, ‘এই বিকেলে তেল আবিবে আমার সঙ্গে যোগ দিন। আমরা অ্যামেরিকান দূতাবাস জ্বালিয়ে দিতে যাচ্ছি।’
তিনি আরও লিখেন, ‘অ্যামেরিকার মৃত্যু, অ্যামেরিকানদের মৃত্যু।’
ওই দিন তেল আবিবে অ্যামেরিকান দূতাবাসের শাখা অফিস এলাকায় দেখা যায় নিউমেয়ারকে, তবে দূতাবাসের কর্মীদের প্রবেশপথের প্রায় দুই মিটার দূরে এ তরুণকে আটকে দেন একজন নিরাপত্তারক্ষী।
ওই সময় নিরাপত্তারক্ষী কাঁধ চেপে ধরার চেষ্টা করলে ইংরেজিতে ‘এফ- ইউ’ বলে নিরাপত্তারক্ষীকে থুতু দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন নিউমেয়ার।
ঘটনার বিষয়ে ফৌজদারি অভিযোগে বলা হয়, নিরাপত্তারক্ষী কাঁধের ব্যাগ টেনে ধরলে ব্যাগ ফেলে দৌড় দেন নিউমেয়ার। সে ব্যাগে তিনটি মলোটভ ককটেল পান নিরাপত্তারক্ষীরা।
অ্যামেরিকার দূতাবাসের সামনে থেকে পালাতে পারলেও শেষ রক্ষা হয়নি দেশটির নাগরিকের। ইসরায়েলি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দূতাবাসের কাছাকাছি একটি হোটেলের কক্ষ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
প্রসিকিউটররা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নিরাপত্তারক্ষীর ওপর হামলার পাশাপাশি কাঁধ ব্যাগে মলোটভ ককটেলের বোতল রাখার কথা স্বীকার করেছেন নিউমেয়ার।
ইসরায়েল এরই মধ্যে এ তরুণকে অ্যামেরিকায় পাঠিয়ে দিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি থেকে জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন নিউমেয়ার। বিমানবন্দরটি নিউ ইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টে পড়ায় নিয়ম অনুযায়ী ব্রুকলিনের ফেডারেল প্রসিকিউররা তার মামলাটির দায়িত্বে রয়েছেন।
নিউমেয়ারের বিরুদ্ধে অ্যামেরিকান সম্পত্তি ধ্বংস করতে আগুন বা বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহারের চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হলে তার পাঁচ থেকে ২০ বছরের সাজা হতে পারে।