বিমান বিধ্বংসী লেজার প্রযুক্তির সফল পরীক্ষা চালাল তুরস্ক

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ৭ ২০২৫, ৯:২৫

বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করতে সক্ষম নতুন লেজার সিস্টেম। ছবি: মিলিটারি

বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রকে ধ্বংস করতে সক্ষম নতুন লেজার সিস্টেম। ছবি: মিলিটারি

  • 0

তুরস্কের প্রতিরক্ষা সংস্থা এই লেজার সিস্টেমের পরীক্ষা চালায়। ১০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতেও আঘাত করতে সক্ষম এই লেজার সিস্টেমটি বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রকে সফলভাবে ধ্বংস করে।

তুর্কি কোম্পানি আসেলসান তাদের অত্যাধুনিক ডাইরেক্টেড ইনফ্রারেড কাউন্টারমেজার (ডিআইআরসিএম) সিস্টেম ইয়েলড্রারাম হান্ড্রেডের সফল পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে।

তুরস্কের সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, পরীক্ষায় সিস্টেমটি ইনফ্রারেড-নির্দেশিত ক্ষেপণাস্ত্রগুলোকে কার্যকরভাবে লক্ষ্যবস্তু এবং নিষ্ক্রিয় করতে অসাধারণ ক্ষমতা প্রদর্শন করেছে। যার মধ্যে বায়ু থেকে বায়ু এবং ভূমি থেকে বায়ু উভয় ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।

এই লেজার সিস্টেমের কর্মক্ষমতা তুলে ধরার জন্য, আসেলসান একটি প্রদর্শনী ভিডিওও প্রকাশ করেছে।

প্রকাশিত ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ইয়েলড্রারাম হান্ড্রেড দ্রুত ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ শনাক্ত করে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি শক্তিশালী লেজারকে ক্ষেপণাস্ত্রের সিকার হেড ধ্বংস করার নির্দেশ দেয়। এতে ক্ষেপণাস্ত্রটির গতিপথ পরিবর্তন করা সম্ভব হয়। ফলে বিমান, হেলিকপ্টার বা ড্রোন কোন লক্ষ্যবস্তুতেই ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানতে পারে না।

সিস্টেমটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাজ করে এবং লক্ষ্যবস্তুকে নিরাপদ রাখতে চারপাশে ৩৬০-ডিগ্রি সুরক্ষা দিয়ে থাকে। আধুনিক সংঘাতের ক্ষেত্রে, এই ধরনের ব্যবস্থা বিমানের সুরক্ষা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ইয়েলড্রারাম হান্ড্রেড মোতায়েন তুর্কি বিমান বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি মোকাবিলায় একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

যুদ্ধ অভিযানের সময় এই লেজার সিস্টেম সামরিক বিমান চলাচলের নিরাপত্তা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এই সিস্টেমে একটি নিয়ন্ত্রণ ইউনিটও রয়েছে। এই ইউনিট ক্ষেপণাস্ত্রের সতর্কতা ব্যবস্থার সাথে একত্রে কাজ করার মাধ্যমে হুমকি মোকাবিলা ও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করে।

ইতোমধ্যে, ব্রিটেন তাদের প্রথম ড্রাগনফায়ার লেজার পরিচালিত অস্ত্র (এলডিইডব্লিউ) এর জন্য অর্ডার দিচ্ছে।