অ্যামেরিকায় তিন মাসের মধ্যে গ্রিন কার্ড পাবেন কীভাবে?

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ১২ ২০২৫, ২১:১৮ হালনাগাদ: নভেম্বর ১৬ ২০২৫, ১০:০৭

অ্যামেরিকার গ্রিন কার্ডের একটি নমুনা। ছবি: গ্লেন ইমিগ্রেশন

অ্যামেরিকার গ্রিন কার্ডের একটি নমুনা। ছবি: গ্লেন ইমিগ্রেশন

  • 0

অনেকের কাছে ‘সোনার হরিণ’ এ কার্ড স্থায়ী বসবাসের মর্যাদা পাওয়ার প্রমাণ। কার্ডটি বহনকারী যেমন নানা অধিকার পান, তেমনই তার রয়েছে বিভিন্ন দায়িত্ব।

অ্যামেরিকার নাগরিক না হয়েও স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজের জন্য দরকার পারমানেন্ট রেসিডেন্ট কার্ড, যেটি পরিচিত গ্রিন কার্ড হিসেবে। এ কার্ডধারীরা একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর অ্যামেরিকার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন।

অনেকের কাছে ‘সোনার হরিণ’ এ কার্ড স্থায়ী বসবাসের মর্যাদা পাওয়ার প্রমাণ। কার্ডটি বহনকারী যেমন নানা অধিকার পান, তেমনই তার রয়েছে বিভিন্ন দায়িত্ব।

কোনো ধরনের বেআইনি কাজে যুক্ত না থাকার পাশাপাশি যথাযথ কাগজপত্র থাকলে এ কার্ড তিন মাসের মধ্যে পাওয়া সম্ভব।

টিবিএন অ্যানালাইসিস অনুষ্ঠানে উপস্থাপক রানা আহমেদ তিন মাসের মধ্যে গ্রিন কার্ড প্রাপ্তি এবং কার্ডটি পেতে বিলম্বের কারণ জানতে চান ইমিগ্রেশন, দুর্ঘটনা ও মেল প্রাকটিস অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরীর কাছে।

জবাবে মঈন চৌধুরী জানান, প্রথমত, অ্যামেরিকার কোনো নাগরিককে বাইরের কোনো দেশ থেকে বৈধ ভিসায় তার স্ত্রী/স্বামীকে নিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে অনথিবদ্ধ হলে চলবে না। বৈধ ভিসা যদি থাকে এবং তার যদি নির্ধারিত সময়ের বেশি সময় অ্যামেরিকায় না থাকা হয়, তাহলে সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে সাক্ষাৎকার শেষে গ্রিন কার্ড চলে আসে। এমনটা হচ্ছে নিয়মিত।

তিনি জানান, বিয়েটা বৈধ হতে হবে এবং বিয়ের সব নথিপত্র যথাযথ থাকতে হবে। একটা সময় কারও দাম্পত্যসঙ্গীর গ্রিন কার্ড পেতে দেড় থেকে দুই বছরও লেগে যেত, কিন্তু বর্তমান নীতি অনুযায়ী, তিন মাসের মধ্যে গ্রিন কার্ড দেওয়া হচ্ছে দম্পতিদের।

এ অ্যাটর্নি জানান, অস্থায়ী ভিত্তিতে দুই বছরের জন্য গ্রিন কার্ড দেওয়া হয়। দুই বছর পরে এটাকে স্থায়ী করার আবেদন করা যায়। তখন কর্তৃপক্ষ সবকিছু আরও বেশি করে ভেরিফাই করবে। বর্তমান সময়ে যদি তারা দেখে যে, বিয়েটা বৈধ, যথাযথ নথিপত্র আছে এবং বিয়ের মধ্যে কোনো টাকা-পয়সার লেনদেন হয়নি কিংবা বয়সের ব্যবধান খুব বেশি নয়, সে ক্ষেত্রে গ্রিন কার্ড প্রদানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয় না।