তিনি বলেন, ‘ইমরান খান বা অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়… আমরা গণতান্ত্রিক নীতি ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে অন্যান্য দেশের মতো পাকিস্তানের প্রতিও আহ্বান জানাই।’
সাবেক ক্রিকেটার ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) পার্টির নেতা ইমরান খানকে ইসলামাবাদের একটি আদালত শনিবার তোষাখানা দুর্নীতি মামলার রায়ে দোষী সাব্যস্ত করে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়। এর পরপরই তাকে লাহোরের বাড়ি জামান পার্ক থেকে গ্রেফতার করা হয়।
ইমরানকে বিভিন্ন সময় সমর্থন দেয়া কয়েকজন অ্যামেরিকান আইনপ্রণেতা তার গ্রেফতার ও কারাদণ্ডের ইস্যুতে নিরব রয়েছেন। তবে দেশটির রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও থিঙ্কট্যাঙ্ক বিশেষজ্ঞরা এর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয় বিষয়ক স্কলার মাইকেল কুগেলম্যান এক্সে লিখেছেন, ‘কিছুদিন আগেও মনে হয়েছিল, পাকিস্তানের রাজনৈতিক সংকট কিছুটা কমেছে। তখন সরকার পদত্যাগ করার ও নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পথ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল… এখন ইমরান খান আবার গ্রেফতার করে এবং নির্বাচন পেছানোর ইঙ্গিত দিয়ে সব বাজি বন্ধ করা হয়েছে।’
এর আগে আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় গত ৯ মে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট চত্বর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল পিটিআই প্রধানকে। এর জেরে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে পাকিস্তানজুড়ে।