এর মাধ্যমে ২০১৭ সালের পর প্রথম নারী হিসেবে ওমেন্স ক্যাটাগরিতে ট্রফি জিতলেন ভোনদ্রৌসোভা। খেলার রেজাল্ট ছিল ৬-৪, ৬-৩।
ছোটবেলা থেকেই টেনিসে দাপট দেখাতে থাকেন ভোনদ্রৌসোভা। জুনিয়র লেভেলে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন। সিনিয়র লেভেলে এসে শুরুতেই চমক দিয়েছিলেন সবাইকে। উঠেছিলেন ২০১৯ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে।
২০১৯ সালে ক্রমতালিকায় সব থেকে উন্নতি করেছিলেন তিনি। এরপর চোটে দীর্ঘ দিন ভুগতে হয় ভোনদ্রৌসোভাকে। গত বছর চোটের কারণে ছয় মাস কোর্টের বাইরে কাটাতে হয়েছিল তাকে। ফলে ক্রমতালিকায় পিছিয়ে ৪৩ নম্বরে নেমে যান। সেই ভোনদ্রৌসোভাই এ বারের উইম্বলডনে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন।
কোচের সঙ্গে বাজি ধরেছিলেন যদি কোনোদিন গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতেন তা হলে কোচকে ট্যাটু করাতে হবে। শনিবার উইম্বলডন জিতে সেই বাজিও জিতে গেলেন ভন্দ্রোসোভা। ট্রফি হাতে নিয়ে সেন্টার কোর্টে দাঁড়িয়ে কোচ জ্যান মার্টলের দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘কি, মনে আছে তো?’
ভোনদ্রৌসোভা বলেন, ‘কোচকে স্পষ্ট বলে দিয়েছিলাম, যদি কোনোদিন গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারি, তা হলে আপনার নিস্তার নেই। আমার মতো আপনাকেও ট্যাটু করাতে হবে।’
সঞ্চালক এরপর জিজ্ঞেস করেন, ‘কবে যাবেন তাকে নিয়ে?’
ভোনদ্রৌসোভার জবাব, ‘কবে আবার? কালকেই।’
ভোনদ্রৌসোভা মনে করেন ট্যাটু আসলে এক ধরনের শিল্প। তাই যারা ট্যাটু করান, তাদের প্রতি আলাদা সমীহ রয়েছে তার। নিজেই জানিয়েছেন, তিন-চার জন ট্যাটু শিল্পী রয়েছে তার। যখন যার কাছে ইচ্ছে তার কাছে চলে যান। নিজের শরীরের প্রতিটি ট্যাটুতে রয়েছে আলাদা বার্তা। তার ডান হাতের ট্রাইসেপে লেখা, ‘নো রেইন, নো ফ্লাওয়ার্স।’