ঋণ খেলাপি হওয়ার দ্বারপ্রান্তে ছিল দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তান। এর আগে তারা ঘোষণা করেছিল, এক মাসের জরুরি পণ্য আমদানির জন্য পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রাও তাদের কোষাগারে নেই।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেছেন, দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার জন্য বেলআউট একটি বড় পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, ‘এই সহায়তা ছোট থেকে মাঝারি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করবে। পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করবে ও পরের সরকারকে আগামী অর্থবছরের বাজেট পরিকল্পনায় ভূমিকা রাখবে।’
পাকিস্তানের অস্থিতিশীল অর্থনীতির দীর্ঘমেয়াদি ও গুরুতর সমস্যাগুলো মোকাবিলা করার উপায় খুঁজতে আট মাসের কঠিন আলোচনার পরে আইএমএফ ঋণ সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
বিভিন্ন সংস্থার ঋণ পরিশোধ করতেও অক্ষম ছিল পাকিস্তান। দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চলই গত বছরের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও শাসকগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনাসহ দেশের অন্য প্রধান সমস্যা মিলে দেশটির অর্থনীতিকে খুবই দুর্বল করে দিয়েছে।
পাকিস্তানের এমন দুরাবস্থায় এগিয়ে আসে তাদের বন্ধুরাষ্ট্র সৌদি আরব ও ইউনাইটেড আরব আমিরাত। চলতি সপ্তাহে দেশ দুটির কাছে থেকে তহবিল পেয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইশাক দার জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার সৌদি সরকারের দুই বিলিয়ন ঋণ সহায়তা পেয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর বুধবার ইউনাইটেড আরব আমিরাতও পাকিস্তানকে এক বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দিয়েছে।