নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, এল পাসোর গেইট ফোরটি টু দিয়ে ছোট ছোট গ্রুপে প্রথম ৪০ জনকে প্রবেশ করানো হয়। সেখানে বর্ডার কর্মকর্তাদের অনুমতি পাওয়ার পর বাসে করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রসেসিং সেন্টারে।
সেখানে তাদের স্ক্রিনিংয়ের পর কর্মকর্তারা সিদ্ধান্ত নেবেন, তাদের অ্যামেরিকা থেকে ফিরিয়ে দেয়া হবে নাকি আশ্রয় চাইতে দেয়া হবে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অ্যামেরিকা-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসনপ্রত্যাশী অন্তত ৬০ হাজার মানুষ অপেক্ষা করছেন।
বর্ডার প্যাট্রোল চিফ রাউল অর্টিজ বলেছেন, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে অ্যামেরিকান টাইটেল ফোরটি টু’র মেয়াদ শেষের আগ মুহূর্তে মেক্সিকান সীমান্তে থাকা কয়েক হাজার অভিবাসী অ্যামেরিকায় প্রবেশের চেষ্টা করেছেন। তবে সব ধরনের অবৈধ প্রবেশ ঠেকাতে প্রস্তুত তার সংস্থা।
এল পাসোতে এক সাক্ষাৎকারে অর্টিজ বলেন, ‘আমরা অনুমান করছি ৬০ হাজারেরও বেশি অভিবাসী অ্যামেরিকায় প্রবেশের জন্য সীমান্ত এলাকা ও তার আশেপাশে অবস্থান নিয়েছেন। এই বিশাল সংখ্যক অভিবাসী চাপ মোকাবেলায় যত সহায়তা প্রয়োজন, আমরা ইতোমধ্যে তা নিশ্চিত করেছি।’
তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত প্রায় ২৫ হাজার অভিবাসী বর্ডার প্যাট্রোলের তাবুতে আশ্রয় নিয়েছেন। আইসিইর কাছে কয়েক হাজার অভিবাসীর আবাসন সুবিধা থাকলেও তাতে জায়গা হয়নি অনেকের।
হোল্ডিং ক্যাম্পে অভিবাসীর অতিরিক্ত ভিড় ও চাপ কমাতে আদালতের শুনানির তারিখ ছাড়াই বেশ কিছু অভিবাসীকে প্রবেশ অনুমতি দিয়েছে বর্ডার প্যাট্রোল।
অর্টিজ বলেন, ‘আমাদের বেশ কয়েকটি বিভাগে ধারণক্ষমতার বেশি অভিবাসী ভিড় করেছেন। তাদের যাচাই-বাছাই ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা আমাদের এনজিও এবং কমিউনিটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছি।’
অভিবাসনপ্রত্যাশীরা অ্যামেরিকার জন্য নিরাপদ কিনা- তা নিশ্চিত হলেই তাদের প্রবেশ অনুমতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে বর্ডার প্যাট্রোলের হেফাজতে নেয়া ১৯ শতাংশ অভিবাসীকে অ্যামেরিকা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।