ম্যানহাটনের ভবনে গুলি: বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৯ ২০২৫, ৩:০৯ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৫ ২০২৫, ০:২৬

ম্যানহাটনের একটি অফিস ভবনে সোমবার প্রাণঘাতী হামলার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্মকর্তারা। ছবি: রয়টার্স

ম্যানহাটনের একটি অফিস ভবনে সোমবার প্রাণঘাতী হামলার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্মকর্তারা। ছবি: রয়টার্স

  • 0

অনুসন্ধানের বিষয়ে ওয়াকিবহাল দুজন ব্যক্তি এপিকে জানান, হামলাকারীকে শেন ট্যামুরা হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে, যিনি নেভাডার বাসিন্দা ছিলেন।

মিডটাউন ম্যানহাটনের সুউচ্চ একটি অফিস ভবনে সোমবার বন্দুক হামলায় দায়িত্বের বাইরে থাকা নিউ ইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট-এনওয়াইপিডির বাংলাদেশি এক কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছেন।

একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস-এপি।

অনুসন্ধানের বিষয়ে ওয়াকিবহাল দুজন ব্যক্তি এপিকে জানান, হামলাকারীকে শেন ট্যামুরা হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে, যিনি নেভাডার বাসিন্দা ছিলেন।

সূত্রগুলো জানায়, হামলাকারী নিজের গুলিতে নিহত হন।

দুই ব্যক্তি এপিকে জানান, ট্যামুরার দেহ শনাক্ত করতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তার কাছ থেকে লাস ভেগাস থেকে ইস্যুকৃত গোপনে অস্ত্র রাখার পারমিট পাওয়া গেছে।

চলমান তদন্তের বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর অনুমোদন নেই এ দুজনের। তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে এপির সঙ্গে কথা বলেন।

ফায়ার ডিপার্টমেন্ট নিউ ইয়র্ক-এফডিএনওয়াই জানায়, কেউ একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য জানিয়ে জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে পার্ক অ্যাভিনিউর অফিস ভবনটিতে ডাকা হয়।

ভবনটিতে দেশের শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ন্যাশনাল ফুটবল লিগের সদরদপ্তর রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী জেসিকা চেন এবিসি নিউজকে জানান, ভবনের তৃতীয় তলায় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে একটি উপস্থাপনা দেখছিলেন তিনি। সে সময় তিনি একাধিক গুলির শব্দ শোনেন।

জেসিকা জানান, বন্দুক হামলার বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনিসহ অন্যরা একটি কনফারেন্স রুমে গিয়ে টেবিল দিয়ে দরজা আটকে রাখেন।

তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে আমরা আসলেই ভয় পেয়েছিলাম।’

নিউ ইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস জানান, বন্দুক হামলায় একাধিক ব্যক্তি আহত হন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ক্লিপ পোস্ট করে তিনি ভবনের ভেতরে অবস্থানরত সবাইকে স্ব স্ব জায়গায় থাকতে বলেন।

ভবনটির প্রতি তলায় তল্লাশি চালানো হবে বলেও জানান মেয়র।

অ্যাডামস আরও জানান, ভুক্তভোগীদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে তিনি হাসপাতালের পথে রওনা হয়েছেন।

স্থানীয় টিভিগুলোর ফুটেজে দেখা যায়, সারি সারি লোকজন দুই হাত উঁচিয়ে ভবন ছাড়ছেন।

ভবনটিতে বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ব্ল্যাকস্টোনের পাশাপাশি আয়াল্যান্ডের কনস্যুলেট জেনারেলের দপ্তর ছিল।