আইসিসির আয়ের সর্বোচ্চ ভাগ পাবে ভারত। পিসিবি পাবে চতুর্থ সর্বোচ্চ অংশ। আইসিসির এই মডেলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠি।
সম্প্রতি  আইসিসির সম্ভাব্য আয়ের পরবর্তী প্রস্তাবিত মডেল নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়েবসাইট ‘ইএসপিএনক্রিকইনফো’। সেখানে প্রস্তাবিত পরবর্তী মডেলে আগামী চার বছরে আইসিসির সম্ভাব্য আয় বার্ষিক ৬০০ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে প্রতি বছর ২৩০ মিলিয়ন ডলার পাবে ভারতীয় বোর্ড (বিসিসিআই); যা আইসিসির মোট আয়ের প্রায় ৩৮.৫ শতাংশ।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪১.৩৩ মিলিয়ন ডলার আয় করবে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। আয়ের দিক থেকে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩৭.৫৩ মিলিয়ন ডলার পাবে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এক্ষেত্রে চতুর্থ সর্বোচ্চ অংশ ৩৪.৫১ মিলিয়ন ডলার বা ৫.৭৫ শতাংশ আয় পাবে পিসিবি।

এ বিষয়ে লন্ডন থেকে রয়টার্সকে শেঠি বলেন, ‘কিভাবে এ অঙ্কটা ঠিক করা হলো, আইসিসির উচিত তা আমাদের পরিস্কার করা। এখনকার অবস্থাতে আমরা মোটেও খুশি নই।’
তবে আইসিসির আগামী চক্রের মডেল চূড়ান্ত হয়নি এখনও। আগামী মাসে পরবর্তী বোর্ড সভায় ২০২৪-২০২৭ চক্রের জন্য নতুন রাজস্ব মডেল প্রস্তাব করবে আইসিসি। ঐ সভায় অনুমোদন না দেয়ার হুমকি আগাম দিয়ে রেখেছেন শেঠি। তিনি বলেন, ‘জুনে আইসিসির বোর্ড সভায় এই আর্থিক মডেল অনুমোদনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে, আমাদের বিস্তারিত না জানালে আমরা সেখানে অনুমোদন দেবো না।’
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সচিব জয় শাহর নেতৃত্বে আইসিসির ফাইন্যান্স ও কমার্শিয়াল অ্যাফেয়ার্স কমিটি কিভাবে এই আয়ের ভাগ নির্ধারন করলো সে ব্যাপারে ইতোমধ্যে আইসিসিকে ব্যাখা করতে বলেছেন শেঠি।
শেঠি জানান, এটা ঠিক যে, সব দেশই  আরো বেশি অর্থ পাচ্ছে। তবে টেস্ট খেলুড়ে আরো অন্তত দুটি  দেশ প্রস্তাবিত এ মডেলে খুশি নয়।
ভারতের ভাগটা বেশি হওয়া উচিত বলেও স্বীকার করেছেন তিনি। কিন্তু কিভাবে আয়ের ভাগটা আইসিসি নির্ধারন করে, সেটি জানতে চান শেঠি। 
আয়ের দিক অন্যান্য দেশের চেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ২৬.৭৪ মিলিয়ন ডলার বা ৪.৪৬ শতাংশ পাবে বিসিবি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২৯০ কোটি টাকা।