হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও কৃষি খাতে কর্মরত অভিবাসী শ্রমিকদের গ্রেপ্তার আবার শুরু করছে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন।
এনবিসি নিউজ জানায়, যাদের ‘ভালো, দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা শ্রমিক’ বলে প্রশংসা করে ট্রাম্প বলেছিলেন, এদের বদলি করা ‘প্রায় অসম্ভব’, সেই শ্রমিকদের বিরুদ্ধেই আবার গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হয়েছে।
কয়েকটি খাতে কর্মরত অভিবাসীরা কিছুদিনের জন্য সরকারের লক্ষ্যবস্তু হওয়া থেকে রেহাই পেলেও আবার একই ঝুঁকিতে পড়েছেন।
হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্টের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জানান, যেসব শিল্প সহিংস অপরাধীদের আশ্রয় দেয় বা ইচ্ছাকৃতভাবে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট-আইসের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করে, তাদের জন্য আর কোনো নিরাপদ স্থান নেই।
তিনি আরও জানান, কর্মস্থলে অভিবাসন আইন বাস্তবায়ন অভিযান বর্তমান প্রশাসনের অভিবাসন নীতির ‘মূল স্তম্ভের’ একটি। এর মাধ্যমে অবৈধ কর্মসংস্থান নেটওয়ার্ককে লক্ষ্যবস্তু বানানো হবে। বেআইনি এ কর্মসংস্থান নেটওয়ার্ক অ্যামেরিকার শ্রমবাজারকে দুর্বল করে এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর অপব্যবহার করে।
প্রশাসনের এ সিদ্ধান্ত ট্রাম্পের এক সপ্তাহ আগের বক্তব্যের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সে সময় ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছিলেন, কৃষক, হোটেল ও পর্যটন শিল্পের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন, অত্যন্ত কঠোর অভিবাসন নীতি তাদের দীর্ঘদিনের ভালো কর্মীদের সরিয়ে দিচ্ছে, যাদের প্রতিস্থাপন করা প্রায় অসম্ভব। তাই পরিবর্তন আসছে।
এনবিসি নিউজের হাতে আসা একটি অভ্যন্তরীণ নীতিমালার নথি অনুযায়ী, ছয় দিন আগেই আইস মাছের খামার ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণসহ কৃষি খাত, রেস্তোরাঁ এবং হোটেলে অভিযান স্থগিত করেছিল।
সেই নথিতে লেখা ছিল, ‘অ্যাকুয়াকালচার ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণসহ কৃষি খাত, রেস্তোরাঁ এবং পরিচালনাধীন হোটেলগুলোর ওপর সব কর্মস্থল অভিযান স্থগিত।’
যদিও মঙ্গলবার সকালেই হোয়াইট হাউস জানিয়ে দেয়, অ্যামেরিকায় অবৈধভাবে অবস্থানকারী যে কেউ রয়েছেন বিতাড়নের ঝুঁকিতে।