বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরা নিয়ে সরকার এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো তথ্য পায়নি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
‘লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান এখনও ট্রাভেল পাসের জন্য আবেদন করেননি। তিনি আবেদন করলেই সরকার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দ্রুত ইস্যু করবে’, বলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হয়, তবে এ বিষয়ে সরকার কোনো আনুষ্ঠানিক বার্তা পায়নি বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তার ভাষ্য, তারেক রহমানের পরিবার বা বিএনপির পক্ষ থেকেও তার দেশে ফেরার বিষয়ে এখনও সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠাতে চাইলে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। দল বা পরিবার সিদ্ধান্ত নিলে তাকে বিদেশে পাঠাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে ৩০ নভেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, তারেক রহমান দেশে ফিরতে চাইলে সরকার এক দিনের মধ্যেই ‘ওয়ান-টাইম ট্রাভেল পাস’ প্রদান করতে সক্ষম।
তিনি বলেছিলেন, ‘আজ জানালে কালই আমরা পাস দিতে পারব। আর পরশু দিনই তিনি দেশে ফেরার ফ্লাইটে উঠতে পারবেন।’
২০০৭ সালে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ১৮ মাস কারাভোগ করেন তারেক রহমান। পরে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পান এবং তার কয়েক দিন পরই (১১ সেপ্টেম্বর) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তিনি লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। এরপর থেকে সেখানেই অবস্থান করছেন।
সরকারের মতে, তারেক রহমানের দেশে ফেরা পুরোপুরি ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আর এ বিষয়ে যে কোনো আনুষ্ঠানিক অনুরোধ পেলেই সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
