কোম্পানিটি গত মঙ্গলবার জানিয়েছে, এলজিবিটিকিউ পণ্য সরিয়ে নেয়ার পদক্ষেপটি ‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে’ তাদের ব্র্যান্ডের দুই হাজার দোকানের সব কর্মীকে সুরক্ষা দেবে।
কিছু স্টেইটের টার্গেট মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা প্রাইড মাসের পণ্যগুলোকে স্টোরের একদম পেছনে নিয়ে রেখেছেন। অন্তত দুই হাজার পণ্য সরিয়ে নেয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন তারা।
এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে জনপ্রিয় রেইনবো মোটিফস ও ‘লাভ ইয লাভ’ টিশার্ট।
আরও রয়েছে ‘জেন্ডার ফ্লুইড’ মগ এবং ‘বাই বাই, বাইনারি’, ‘প্রাইড ওয়ান, টু, থ্রি’ ও ‘আই অ্যাম নট এ গার্ল’ শিরোনামের শিশুতোষ বই।
এক বিবৃতিতে টার্গেট বলেছে, ‘এ বছরের কালেকশন প্রকাশ্যে আনার পর থেকেই আমাদের দলের সদস্যরা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ভুগছে। কর্মক্ষেত্রে থাকাকালীন হত্যার হুমকি পাচ্ছেন অনেকে।
‘অস্থির এই পরিস্থিতে আমরা নতুন পরিকল্পনা নিয়েছি। লিঙ্গ পরিচয় বা এলজিবিটিকিউ কমিউনিটির উল্লেখযোগ্য বেশকিছু পণ্য বিতর্কের কেন্দ্রে থাকায় সেগুলো সরিয়ে নিয়েছি।’
টার্গেটের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে প্রাইড কালেকশনের পণ্যগুলোর প্রতি ক্ষোভ অনেক বেড়েছে। এলজিবিটিকিউ পণ্যগুলোকে ছুড়ে ফেলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, অ্যামেরিকার সব টার্গেট স্টোর ও ওয়েবসাইট থেকেই এলজিবিটিকিউ পণ্য সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
প্রাইড কালেকশনের বেশ কিছু পণ্য সরিয়ে নেয়া হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
কমিউনিটির ভিন্ন মতাদর্শের দাবি, যেসব পণ্য অপসারণ করা হয়েছে তা আবপ্রালেন লেবেলের অধীনে ছিল। এসব আইটেমে পেন্টাগ্রাম, শিংযুক্ত খুলি ও অন্যান্য শয়তানের মতো করে উপস্থাপনের জন্য কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছে জনপ্রিয় এ ব্র্যান্ড।
এদিকে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়ায় সমকামিতা নিষিদ্ধ। তাদের জনপ্রিয় হাতঘড়ির ব্র্যান্ড সোয়াচ জানিয়েছে, ক্যাপিটাল কুয়ালালামপুরসহ এই ব্র্যান্ডের সব দোকান থেকে ১৪ হাজার ডলার সমমূল্যের ১৬৪টি রেইনবো রঙের ঘড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।