দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর অনুমোদনহীন অভিবাসী বিতাড়নের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আদাজল খেয়ে নেমেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এ তৎপরতার অংশ হিসেবে নানা ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে ফেডারেল সংস্থা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট-আইস। এমনই একটি চেষ্টা হলো মেডিকএইড সুবিধাভোগীদের তথ্যে আইসের প্রবেশাধিকার।
এ সংক্রান্ত নানা দিক টিবিএন ভিউজ অনুষ্ঠানে তুলে ধরেছেন উপস্থাপক হাবিব রহমান।
ফেডারেল সরকার ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের বরাতে তিনি জানিয়েছেন, ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিসেস-এইচএইচএস এখন আইসকে অনুমোদন দিয়েছে যে, তারা মেডিকএইডের ব্যক্তিগত তথ্যে প্রবেশাধিকার পাবেন। মেডিকএইডের অন্তর্ভুক্ত ৭৯ মিলিয়ন তথা সাত কোটি ৯০ লাখ মানুষ। সিদ্ধান্তটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, যার মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের যে অভিবাসন নীতি আছে, সেটি এখন ঢুকে গেছে স্বাস্থ্যসেবা খাতে।
তার মতে, এর লক্ষ্য হলো সেসব মানুষকে চিহ্নিত করা এবং তাদের বিতাড়ন করা, যারা অবৈধভাবে মেডিকএইডের সুফলভোগী হয়েছিলেন।
ডিপার্টমেন্ট অব হোমল্যান্ড সিকিউরিটি-ডিএইচএসের এক মুখপাত্রের বরাতে হাবিব রহমান জানান, মেডিকএইডের সুফলভোগীদের তথ্যে আইসের প্রবেশাধিকার ট্রাম্প প্রশাসনের অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নে অনেকগুলো কাজের একটি। এর মাধ্যমে তারা নিশ্চিত করতে চাইছেন যে, যারা আইনিভাবে অ্যামেরিকায় বসবাস করছেন, তারাই শুধু মেডিকএইড সুবিধা পাবেন, কিন্তু সুনিশ্চিতভাবে আরেকভাবে এটিকে দেখতে হবে। সেটি হচ্ছে এটা অন্যতম উপায় যার মাধ্যমে তারা দেখতে পাবে, জানতে পারবে অভিবাসীরা কোথায় আছেন এবং সেখানে তারা পৌঁছাতে পারবে। অভিবাসীর ঠিকানা, ব্যক্তিগত তথ্য এখন আইসের নখদর্পণে।