জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশন

বাসস

এপ্রিল ১০ ২০২৩, ১৬:৫৬

জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস

জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। ছবি: বাসস

  • 0

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ ও ২২তম অধিবেশন শেষ হয়েছে সোমবার। অধিবেশন চলাকালে ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনার প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।

কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ ধারায় প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা গত ৭ এপ্রিল প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিলেন।

তিনি বলেছিলেন, “বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সংসদীয় গণতন্ত্রের কেন্দ্রবিন্দুরূপে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন এবং আশা আকাঙ্খার সফল বাস্তবায়নে অব্যাহতভাবে কার্যকর ও সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র হবে সুসংহত, শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে, সকলের জন্য সাম্য ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত হবে, সংবিধানের এ অঙ্গীকারসমূহ পূরণে আমরা সকলে একযোগে কাজ করবো, গড়ে তুলবো আগামীর সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা- এই হোক আমাদের প্রত্যয়।”

২২তম অধিবেশনের শেষ দিনে উন্নয়নের সুফল জনগণের কাছে পৌঁছাতে সবক্ষেত্রে সুশাসন প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ।

তিনি বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র অব্যাহত থাকলে, উন্নয়ন টেকসই হয়। গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হলে, উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। তাই সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মজবুত করতে হবে। গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় রাখতে দেশের সব দল, মতের ঐকমত প্রয়োজন।’ 

সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশের অপর নাম ‘শেখ মুজিবুর রহমান’। এটি একটি কঠিন সত্য। যে সত্য বার বার অন্ধকারকে ভেদ করে বাঙালির হৃদয়ে সূর্যালোক পৌঁছে দেয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির উন্নয়নে বিপুল ত্যাগ স্বীকার করায় সংসদের অভ্যুদয় এবং জাতির অস্তিত্ব একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।’

বিএনপির ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে উপনেতা বলেন, ‘রাজনীতিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও অভিযোগ থাকতে পারে, কিন্তু বিএনপি সাধারণত অনৈতিক পথ অনুসরণ করে রাজনীতিতে মিথ্যাচার করছে।’

গত ৬ এপ্রিল থেকে ৫ কার্যদিবস পর্যন্ত অধিবেশন চলার পর ১০ এপ্রিল জাতীয় সংসদের চলতি অধিবেশন শেষ হয়। জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তির মাহেন্দ্রক্ষণে, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতার প্রস্তাবের উপর ৬৩ জন সংসদ সদস্য ১০ ঘণ্টা ২৭ মিনিট আলোচনা করেন।

এ সময় স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশের সংবিধান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনন্য উপহার। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুর্নগঠনের পাশাপাশি অল্প সময়ের মধ্যে বিশ্বনন্দিত ও অনন্য সংবিধান প্রণয়ন ও সফলভাবে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান ইতিহাসে মাইলফলক হয়ে থাকবে… গণতান্ত্রিক রীতিনীতি ও মহান সংবিধানের আলোকে বাংলাদেশে গণতন্ত্র চর্চার ইতিহাসকে আরও সমৃদ্ধ ও বেগবান করতে আমাদের সক্রিয় হতে হবে। সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত, দারিদ্র ও ক্ষুধামুক্ত স্মার্ট বাংলাদেশ ও জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ সফলভাবে বাস্তবায়নের পর আমরা একটি কল্যাণকামী, উন্নত, সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে রূপকল্প ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আজকের বাংলাদেশ তরুণদের অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ। আসুন, আমাদের মাতৃভূমিকে এমনভাবে গড়ে তুলি যেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম এর সুফল ভোগ করতে পারে।’

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের অধিবেশন সমাপ্তির ঘোষণা পাঠ করার মাধ্যমে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিশেষ এই অধিবেশন সমাপ্ত ঘোষণা করেন।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন