হোয়াইট হাউয থেকে এক রিপোর্টের বরাতে বলা হয়, আফগানিস্তান বিষয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নেয়া কিছু সিদ্ধান্তের কারণে ব্যাপক চাপে পড়েছিলেন বাইডেন। এর মধ্যে একটি ছিল ২০২০ সালে তালেবানে সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের চুক্তি করা।
এসব কারণে বাইডেন প্রশাসনকে আফগানিস্তান থেকে হুড়োহুড়ি করে অ্যামেরিকান সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। বিবিসির নিউযে এ তথ্য জানানো হয়।
২০২১ সালের আগস্টে মর্মান্তিক ঘটনাপ্রবাহের পর সেনা প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে অ্যামেরিকার দীর্ঘদিনের আফগান যুদ্ধ শেষ হয়।
সে সময় তালেবানের হাত থেকে বাঁচাতে ১২০ হাজারের বেশি আফগানিকে সরানোর সময় হুলস্থুল বাঁধিয়ে ফেলেন অ্যামেরিকান সেনারা।
দুটি সহিংসতার ঘটনায় অন্তত ২০০ আফগান বেসামরিক ও ১৩ অ্যামেরিকান সেনা নিহত হন।
স্টেইট ডিপার্টমেন্ট ও পেন্টাগন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ও পদক্ষেপগুলো খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে। সেটি বৃহস্পতিবার কংগ্রেসে পাঠানো হয়।
হাউয অফ রিপ্রেজেন্টিটিভের রিপাবলিকানরা অনেকদিন ধরেই রিপোর্টটি দেখার দাবি জানাচ্ছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিপোর্টের একটি সারসংক্ষেপ প্রকাশ করে হোয়াইট হাউয।
ওই সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট বাইডেনের সহযোগিতায় তৈরি করেছে হোয়াইট হাউয ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল।
আফগান সরকার ২০২১ সালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলার পর তালেবানদের হাত থেকে বাঁচতে প্রচুর মানুষ দেশ ছাড়ার জন্য কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় করেন।
এই বছরের ২৬ আগস্ট বিমানবন্দরে দুটি আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হন ১৩ অ্যামেরিকান সেনা ও ১৭০ আফগান নাগরিক।
এর কিছুদিন পর অ্যামেরিকা কাবুলে ড্রোন হামলা চালায়। বলা হয়, তাদের লক্ষ্যবস্তু ছিল এক আত্মঘাতী বোমাহামলাকারী। তবে ওই ড্রোন হামলায় প্রাণ যায় ৭ শিশুসহ ১০ বেসামরিকের।
প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ন্যাশনাল সিকিউরিটি মুখপাত্র জন কিরবি বৃহস্পতিবার ওই রিপোর্টের সারসংক্ষেপ বলতে গিয়ে জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের কারণে আফগানিস্তানে অভিযানের ক্ষেত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এ কারণে সেনা প্রত্যাহারের সময় বিশৃঙ্খলাগুলো হয়।
এর পরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, “হোয়াইট হাউযের ‘গাধাগুলো’ এখন নতুন ‘মিথ্যাচারের খেলা’ শুরু করেছে। আফগানিস্তানে তাদের অদক্ষ আত্মসর্পণের দায় আমার উপর চাপাচ্ছে… যা ঘটেছে তার জন্য বাইডেন দায়ী, আর কেউ নন।’