কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন, গণতন্ত্র ও অন্য বিষয় নিয়ে দেশে একটি (অস্থিতিশীল) পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় তারা, যাতে তারা ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগর ব্যবহার করতে পারে। তাদের কারও কারও উদ্দেশ্য এ অঞ্চলের বিভিন্ন দেশে আক্রমণ করা এবং দেশগুলোকে ধ্বংস করা।’
বিদেশি শক্তির স্থানীয় সমর্থকদের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশে কিছু নির্বোধ আছে যারা এই বাস্তবতা না বুঝে তাদের সুরে কথা বলে। তারা শুধু কিছু পয়সার জন্য বিভিন্ন উপায়ে এটি করছে।’
জাতীয় শোক দিবস-২০২৩ উপলক্ষে বুধবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক স্মরণসভায় বক্তব্যে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এই স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন বা গণতন্ত্র নয়। তারা বাংলাদেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করতে চায়। এটাই বাস্তবতা।’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার গণতন্ত্রের ভিত মজবুত করেছে এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন করেছে।
দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৭ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।
তিনি বলেন, ‘ভারত মহাসাগরে অবস্থিত হওয়ায় ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে বঙ্গোপসাগর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান। কারণ এটি আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহনের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ এবং গ্রহণযোগ্য নৌপথ। তাই তারা ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরকে ব্যবহার করার জন্য নির্বাচন, গণতন্ত্রসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এ দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণকে এ ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে অবস্থিত দেশগুলো এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন রয়েছে।’