দেশটির গাড়ি রপ্তানির অফিসিয়াল পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ১.০৭ মিলিয়ন যানবাহন রপ্তানি করা হয়েছে, যা ২০২২ সালের একই সময়ের চেয়ে অন্তত ৫৮ শতাংশ বেশি।
চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে জাপান গাড়ি রপ্তানি করেছে ৯৫৪ হাজার ১৮৫টি, যা গত বছরের তুলনায় মাত্র ৬ শতাংশ বেশি।
ধারণা করা হচ্ছে, রাশিয়ায় বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা ও বিক্রি বাড়ার কারণেই চায়নার গাড়ি রপ্তানি বেড়ে গিয়েছে।
জার্মানিকে টপকে গত বছর দ্বিতীয় বৃহত্তম গাড়ি রপ্তানিকারক হয়ে উঠে চায়না। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে আনায় চায়নার মোটর শিল্পে বিপ্লব ঘটেছে।
দেশটির জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ কাস্টোমসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে ৩.২ মিলিয়ন গাড়ি রপ্তানি করা হয়েছে। একই সময়ে জার্মানি রপ্তানি করেছে ২.৬ মিলিয়ন গাড়ি।
গত বছরের তুলনায় এ বছরের প্রথম তিন মাসে নিউ এনার্জি ভিয়েকলসের (এনইভি) রপ্তানি বেড়েছে ৯০ শতাংশ, যার মধ্যে বিদ্যুৎ চালিত গাড়িও ছিল।
এনইভি রপ্তানিকারকদের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে টেসলা ব্র্যান্ডের চায়না শাখা-এসএআইসি ও প্রবীণ অ্যামেরিকান বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেটের বিওয়াইডি।
এছাড়া এলন মাস্কের বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণের একটি বিশাল কারখানা চায়নার সাংহাইতে রয়েছে। মূলত এই কারখানার গাড়িই জাপানসহ ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে রপ্তানি করা হয়।
বর্তমানে টেসলার ‘গিগাফ্যাক্টরি’ বছরে ১.২৫ গাড়ি উৎপাদন করতে সক্ষম। উৎপাদন ক্ষমতা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গত মাসে কোম্পানিটি ক্যানাডায় রপ্তানির জন্য মডেল ওয়াই স্পোর্টস ইউটিলিটি গাড়ি উৎপাদন শুরু করেছে।