‘সঠিকভাবে’ হিজাব না করার অভিযোগে গত সেপ্টেম্বরে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনি আটক হওয়ার পর নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে মারা যান। এরপর প্রচণ্ড বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গোটা ইরানে। গণবিক্ষোভ দমনে হিমশিম খেয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ওই বিক্ষোভে ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হন এবং প্রায় ২০ হাজার বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়।
বিক্ষোভের মাঝে গত ডিসেম্বরে সংবাদমাধ্যমের কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয় নৈতিকতা পুলিশ বাহিনীকে বিলুপ্ত করেছে সরকার। অবশ্য ইরান সরকার বরাবরই এ দাবি অস্বীকার করেছে।
পুলিশের মুখপাত্র জেনারেল সাঈদ মনতাজেরোলমাহদি রোববার বলেন, ‘নৈতিকতা পুলিশ জনসম্মুখে হিজাব না পরা নারীদের বিষয়টি ধরিয়ে দেয়া এবং আটক করার কাজ ফের শুরু করবে।’
তেহরানে এরইমধ্যে নৈতিকতা পুলিশের নারী ও পুরুষ সদস্যদের ভ্যানে করে রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে।
হিজাবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ইরানী নারীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া বিক্ষোভকারীদের বেশিরভাগই ছিলেন তরুণ। ইরান সরকার অবশ্য এই বিক্ষোভকে ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।