প্রাথমিক তদন্ত শেষে পুলিশ জানিয়েছে, বাবার পিস্তল নিয়ে বেলগ্রেড এলাকার ওই স্কুলে গিয়ে ছেলেটি পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে।
বেলগ্রেডের ভ্লাদিসলাভ রিবনিকার স্কুলে বুধবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, আটক ১৩ বছর বয়সী কিশোর ওই স্কুলের শিক্ষার্থী। তার এক সহপাঠী পুলিশকে জানিয়েছে, সকালে হিস্টরি ক্লাসে ঢুকে গুলি চালাতে শুরু করে সে। প্রথমে ক্লাসের শিক্ষককে ও পরে শিক্ষার্থীদের দিকে গুলি চালানো হয়। আর স্কুলে ঢোকার আগে নিরাপত্তারক্ষীকে সে গুলি করে।
পুলিশ গিয়ে তাকে পিস্তলসহ আটক করে। নিরাপত্তারক্ষী ও আট শিক্ষার্থীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সার্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর এমন হামলা দুঃখজনক।
সেন্ট্রাল ভ্রাক্যার ডিসট্রিক্টের মেয়র মিলান নেদেলযেকোভিক জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে এক শিক্ষার্থী ও এক শিক্ষকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী ওই স্কুলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। এক মাস ধরে হামলার ছক কষেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাবার পিস্তল ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে।
এ ঘটনায় ছেলেটির বাবা ও মাকে পরে পুলিশ আটক করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রেতিসল্যাভ গ্যাসিক বলেন, ‘ছেলেটি ওই স্কুলে পড়ত। বাবার দুটি পিস্তল সে কোনোভাবে হাতিয়ে নেয়। তিনটি ম্যাগাজিনও সে নেয়, প্রতিটিতে ১৫টি করে বুলেট ছিল।’
ছেলের বাবার ও মার বিরুদ্ধে যথাযত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মন্ত্রী। আর ছেলেটিকে পাঠানো হবে মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে।
হামলার ঘটনার পরে শহরের সব স্কুল একদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সরকার দেশজুড়ে তিন দিনের শোক পালনের ঘোষণা দিয়েছে।
বিবিসি বলছে, সার্বিয়ায় ম্যাস শ্যুটিংয়ের ঘটনা বিরল। খুব কঠোর আগ্নেয়াস্ত্র আইন রয়েছে দেশটিতে। তবে আগ্নেয়াস্ত্রের মালিকানা ইউরোপের মধ্যে শীর্ষে এই দেশ।