ডেভিড চার্লস গ্রুশ সাবেক ন্যাশনাল জিওস্পেশাল-ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির সদস্য ও সাবেক ন্যাশনাল রিকনসেন্স অফিসার।
আনআইডেনটিফাইড অ্যারিয়াল ফেনোমেনা (ইউএপি) যা প্রচলিত ভাষায় ইউএফও সেটির অ্যানালাইসিস টিমের সদস্য ছিলেন গ্রুশ। সবমিলিয়ে গোয়েন্দা হিসেবে গ্রুশের ১৪ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
ইউএপি টাস্ক ফোর্সে থাকার সময়, কয়েকটি ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারকালে (মেটেরিয়াল রিকভারি প্রোগ্রাম) তাকে থাকার অনুমতি দেয়া হয়নি। গ্রুশের দাবি সেগুলো ছিল ইউএফওর অংশ।
নিউজনেশনকে সাবেক এয়ারফোর্স কর্মকর্তা গ্রুশ বলেন, ‘উদ্ধার করা যানগুলো মানুষের তৈরি নয়। এটিকে চাইলে আপনি মহাকাশযানও বলতে পারেন। অদ্ভুত দেখতে যানগুলো এখানে ল্যান্ড করেছিল বা ধসে পড়েছিল।‘
বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও সামরিকবাহিনী সংক্রান্ত ওয়েবসাইট দ্য ডিব্রিফকে তিনি বলেন ইউএফও নিয়ে বহুবার কংগ্রেসকে জানিয়েছেন। তার দাবি মেটেরিয়াল রিকভার প্রোগ্রামটি কংগ্রেসের তদারকি থেকে গোপন করা হয়েছে।
ডিব্রিফের কাছে এমন কিছু নথি এসেছে যেখানে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে যে, ইচ্ছাকৃতভাবে ইউএপি প্রোগ্রামকে কংগ্রেসের তদারকি থেকে দূরে রাখার তথ্য গ্রুশের কাছে আছে।
সেখানে আরও বলা হয়েছে যে, ২০২১ সালের জুলাইয়ে গ্রুশ ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স ইন্সপেক্টর জেনারেলকে এ সংক্রান্ত তথ্য দেন। গ্রুশের ধারণা এ ঘটনার পর তার পরিচয় প্রকাশ করে দেয়া হয়েছে।
গ্রুশ যোগ করেন যে, দ্য ইনটিলিজেন্স কমিউনিটি ইন্সপেক্টর জেনারেল গ্রুশের অভিযোগটি বিশ্বাস করেছেন।
তার দাবি, ২০২২ সালের জুলাইয়ে জরুরি ভিত্তিতে তার অভিযোগের সারসংক্ষেপ ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স, সিনেট সিলেক্ট কমিটি অন ইন্টেলিজেন্স ও দ্য হাউজ পার্লামেন্ট সিলেক্ট কমিটি অন ইন্টেলিজেন্সকে পাঠানো হয়েছে।