বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই জয় আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের মনোবল চাঙা করতে খুবই প্রয়োজনীয় ছিল। এ বছর ভারতের বড় যে পাঁচটি স্টেইটে নির্বাচন হচ্ছে তার মধ্যে কর্নাটকই প্রথম।
ইলেকশন কমিশনের তথ্য অনুসারে, রাজ্যসভার ২২৪টি আসনের মধ্যে ১৩০টিরও বেশি আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে সরকার গঠনের জন্য দলটির ১১৩টি আসনে জয়ের প্রয়োজন ছিল।
জয়ের পর কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দিল্লিতে সমর্থকদের বলেন, ‘ঘৃণার দোকান বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের জয়ে এবার ভালোবাসার দোকান খোলা হয়েছে।’
কর্নাটকে বিজেপি দলের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বাসাভরাজ বোমাই পরাজয় মেনে নিয়ে বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় কর্মীদের সর্বোচ্চ চেষ্টার পরেও আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছি।’
কংগ্রেসের মুখপাত্র আখিলেশ প্রতাপ সিং দাবি করেন, আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনের আগে কর্নাটকে কংগ্রেসের এই জয় রাজনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে।
তিনি বলেন, ‘বিজেপি এ বছরের শেষ দিকে মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, তেলেঙ্গানা এবং ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচনেও হেরে যাবে। জাতীয় নির্বাচনেও আগামী বছর মোদির হার দেখতে পাবেন সবাই।‘
বিজেপি সমর্থক রাজনীতি বিশ্লেষক সুভ্রকমল দত্ত অবশ্য এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছেন। তিনি বলেন, ভাগ্যের জোরে কর্নাটকে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। এই জয় জাতীয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
তিনি বলেন, ’নরেন্দ্র মোদিকে সামলানো কংগ্রেসের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।‘