সিগারেটসহ যেসব পণ্য বেচা যাবে না সৌদির বাকালাগুলোতে

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৮ ২০২৫, ১৭:৫০

সৌদির একটু মুদির দোকান। ছবি: লাভ ইন রিয়াদ

সৌদির একটু মুদির দোকান। ছবি: লাভ ইন রিয়াদ

  • 0

সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে ভোক্তাদের সুলভ মূল্যে পণ্য প্রাপ্তি এবং এলাকার দোকানগুলোতে দরকারি পণ্য পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

বাকালা হিসেবে পরিচিত ছোট মুদির দোকানগুলোতে কিছু পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে সৌদি আরব।

খালিজ টাইমস বৃহস্পতিবার জানায়, বাকালাগুলোতে সিগারেটসহ তামাকজাত পণ্য, খেজুর, মাংস, ফলমূল এবং শাকসবজি বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সৌদির পৌর ও পল্লি এবং গৃহায়ণবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

দুবাইভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়, ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মাজেদ আল-হোগাইল নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এর লক্ষ্য মুদি দোকানের কাঠামো পুনর্গঠনের পাশাপাশি সৌদিজুড়ে গণস্বাস্থ্য ও জননিরাপত্তার মান বাড়ানো।

নতুন এ নিয়ম তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে, তবে পুরাতন দোকানগুলোর ক্ষেত্রে নিয়ম মানার জন্য ছয় মাসের একটি ছাড় দেওয়া হয়েছে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, মুদি দোকান, কিয়স্ক ও মিনি মার্কেটে নিয়মিত সিগারেট, ইলেকট্রনিক সিগারেট ও সিসাসহ তামাকজাত পণ্য বেচা যাবে না। এ ছাড়া খেজুর, মাংস, ফল ও শাকসবজি বিক্রি করতে পারবে না দোকানগুলো।

এসব পণ্য শুধু মাংস বিক্রির জন্য আলাদা লাইসেন্স করা সুপারমার্কেট, বাড়তি লাইসেন্স ছাড়াই উল্লিখিত পণ্য বিক্রির অনুমোদনপ্রাপ্ত হাইপারমার্কেটে বিক্রি করা যাবে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, চার্জার ক্যাবলস এবং প্রিপেইড রিচার্জ কার্ড বিক্রি করা যাবে মুদি দোকান, সুপারমার্কেট ও হাইপারমার্কেটগুলোতে।

জায়গা সংক্রান্ত নির্দেশনা

নতুন নিয়মে দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জায়গার বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী, মুদির দোকানের আয়তন অবশ্যই ২৪ বর্গমিটার হতে হবে। সুপারমার্কেটকে হতে হবে কমপক্ষে ১০০ বর্গমিটার। এ ছাড়া হাইপারমার্কেটে কমপক্ষে ৫০০ বর্গমিটার জায়গা থাকতে হবে।

প্রভাব

সরকারের নতুন নিয়মের প্রভাব পড়তে পারে সৌদিজুড়ে থাকা হাজারো ছোট মুদি দোকানের ওপর। এ ধরনের অনেক দোকান দীর্ঘদিন ধরে তাজা শাকসবজি, তামাকজাত পণ্য ও খেজুরের ওপর ভিত্তি করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে আসছে।

নিয়ম অনুযায়ী, নিষিদ্ধ পণ্যগুলো বিক্রি করতে দোকানগুলোকে তাদের জায়গা বড় করতে হবে এবং পণ্য বিক্রির বিষয়টি পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।

সরকারের এ সিদ্ধান্তের ফলে ভোক্তাদের সুলভ মূল্যে পণ্য প্রাপ্তি এবং এলাকার দোকানগুলোতে দরকারি পণ্য পাওয়া কঠিন হয়ে যাবে।

সৌদি সরকার মনে করছে, পরিবর্তিত বিধির ফলে অপেক্ষাকৃত বড় ও সুনিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানগুলোর পণ্য হ্যান্ডলিং ও নিরাপত্তা বাড়বে।

মন্ত্রণালয় জানায়, ছয় মাস ছাড়ের সময়ে বাস্তবায়ন দল নিয়ম মেনে চলার বিষয়টি তদারকি করবে। এর পর থেকে নিয়ম অমান্যকারী দণ্ড, জরিমানা কিংবা দোকান বন্ধের আদেশ পেতে পারেন।