সন্তানদের খুন করে ৪ বছর স্যুটকেসে লাশ লুকিয়ে রাখলেন মা

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৩ ২০২৫, ৬:২৬

মায়ের হাতে খুনের শিকার মিনু জো ও ইউনা জো। ছবি: মিরর

মায়ের হাতে খুনের শিকার মিনু জো ও ইউনা জো। ছবি: মিরর

  • 0

পরিত্যক্ত একটি স্টোরেজ ইউনিটে নিয়মিত ভাড়া প্রদানের মাধ্যমে তিনি সন্তানদের লাশবাহী স্যুটকেস সেখানে রাখেন বছরের পর বছর।

যে মা সন্তানদের স্নেহের শেষ আশ্রয় হওয়ার কথা, সেই মা হয়ে উঠলেন ঘাতক। দক্ষিণ কোরিয়ান বংশদ্ভুত এই মায়ের দানবী কর্মকাণ্ড যেন হার মানায় সকল নৃশংসতাকে।

নিউজিল্যান্ডের নাগরিক হাকিউং লি নামে ৪৫ বছর বয়সী ওই নারী ২০১৮ সালে তার ছয় বছর ও আট বছর বয়সী দুই ছোট বাচ্চাকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হননি, তাদের মৃতদেহগুলো স্যুটকেসে বন্দি করে রাখেন ৪ বছর।

সংবাদমাধ্যম মিরর জানায়, হত্যার পর অকল্যান্ডের পরিত্যক্ত একটি স্টোরেজ ইউনিটে নিয়মিত ভাড়া প্রদানের মাধ্যমে তিনি সন্তানদের লাশবাহী স্যুটকেস সেখানে রাখেন।

ভাড়া দিতে অপরাগ হওয়ায় অবশেষে ২০২২ সালের আগষ্টে হত্যার চার বছর পর উদ্ধার হয় ছয় বছর বয়সী মিনু জো এবং আট বছর বয়সী ইউনা জো-র মৃতদেহ।

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পরেই ২০১৮ নিউজিল্যান্ড থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় পালিয়ে যান, যেখানে তিনি তার নাম পরিবর্তন করেন। তবে রেহাই পাননি। ২০২৫ সালে তাকে প্রত্যর্পণ করে নিউজিল্যান্ডে ফিরিয়ে আনা হয়।

গত ৮ সেপ্টেম্বর অকল্যান্ডের হাইকোর্টে তার বিচার শুরু হয়। আদালতে জুরি বোর্ড মাত্র কয়েক ঘণ্টা আলোচনার পরই তাকে দুইটি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে। বিচার চলাকালে লির আইনজীবীরা দাবি করেছিলেন, মানসিক অসুস্থতার কারণে তিনি হত্যার জন্য দায়ী নন। তবে জুরি সেই যুক্তি প্রত্যাখ্যান করে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়—লি-ই খুনের জন্য দায়ী।

২৬শে নভেম্বর একই আদালতে এই ঘাতক মায়ের সাজা ঘোষণা করা হবে। নিউজিল্যান্ডে খুনের শাস্তি বাধ্যতামূলক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। যেখানে বিচারকদের কমপক্ষে ১০ বছরের কারাদণ্ড নির্ধারণ করতে হয়, যেন একজন অপরাধী প্যারোলে মুক্তির জন্য আবেদন করতে পারেন।

অকল্যান্ডের হাইকোর্টে বিচারপতি জিওফ্রে ভেনিং নভেম্বরে সাজা না হওয়া পর্যন্ত লিকে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।