মেক্সিকোতে বিতাড়িত গুয়াতেমালার অভিবাসীকে ফেরত আনতে ট্রাম্প প্রশাসনকে নির্দেশ

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২৪ ২০২৫, ১৯:৪৬

ক্যালিফোর্নিয়ার প্যারামাউন্টে ২০২০ সালের ১ মার্চ একটি বাড়ি থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইএস) আভিযানিক দল। ছবি: রয়টার্স

ক্যালিফোর্নিয়ার প্যারামাউন্টে ২০২০ সালের ১ মার্চ একটি বাড়ি থেকে একজনকে গ্রেপ্তার করে ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্টের (আইএস) আভিযানিক দল। ছবি: রয়টার্স

  • 0

বোস্টনে ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক ব্রায়ান ই. মারফি তার রায়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করেন।

নিপীড়নের শিকার হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ ও সহিংসতার মুখোমুখি হওয়ার কথা জানানোর পরও মেক্সিকোতে বিতাড়িত গুয়াতেমালার এক অভিবাসীকে অ্যামেরিকায় ফেরাতে সহায়তার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন ফেডারেল এক বিচারক।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, নামের তিন আদ্যাক্ষর ‘ও.সি.জি’ দিয়ে পরিচিত ওই ব্যক্তি একজন গে, যিনি বর্তমানে গুয়াতেমালায় আত্মগোপনে রয়েছেন।

ও.সি.জি এক ঘোষণায় বলেন, গুয়াতেমালায় ‘প্রতিনিয়ত আতঙ্ক ও ভয়ভীতির মধ্যে’ আছেন তিনি।

এ ব্যক্তি আরও বলেন, ‘আমি এখানে গে হিসেবে থাকতে পারব না, যার অর্থ হলো আমি আমার আমি থাকতে পারব না।’

বোস্টনে ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের বিচারক ব্রায়ান ই. মারফি তার রায়ে ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করেন।

তিনি বলেন, ফেডারেল সরকারের দাবি ছিল, মেক্সিকোতে পাঠানোর বিষয়ে শঙ্কিত না থাকার কথা জানিয়েছেন ও.সি.জি। বিপরীতে ও.সি.জি বলেছেন, মেক্সিকোতে তিনি ধর্ষণের শিকার হওয়ার পাশাপাশি আটক হয়েছেন। পরবর্তী সময়ে সরকার জানায়, ও.সি.জি যেসব কর্মকর্তার কাছে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তাদের শনাক্ত করা যায়নি।

বিচারক মারফি রায়ে উল্লেখ করেন, বিতাড়ন যথাযথ প্রক্রিয়ায় না হওয়ার বিষয়টি সম্ভবত প্রমাণ করতে পেরেছেন ওসিজি।

গুয়াতেমালার অভিবাসীকেন্দ্রিক এ রায় প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিতাড়ন নীতির সঙ্গে বিচারকদের দ্বিমতের বিষয়টিকে ফের সামনে আনল।

ইতোপূর্বে বেশ কয়েকজন বিচারক তাদের রায়ে বিতাড়নের ক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে ট্রাম্প প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।