বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ ১৪টি দেশের উপর চড়া শুল্কারোপের ঘোষণা দেয়ার পর, এবার আরো আটটি বাণিজ্য অংশীদারের ওপর শুল্কের বোঝা চাপালেন, প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার, হোয়াইট হাউযের পাঠানো চিঠিতে, দেশগুলোকে ভিন্ন ভিন্ন শুল্কের হার নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এর মধ্যে ৩০ শতাংশের শুল্ক আরোপ হচ্ছে--আলজেরিয়া, ইরাক, লিবিয়া ও শ্রীলঙ্কার ওপর। ব্রুনাই ও মলদোভা রয়েছে ২৫ শতাংশের তালিকায়। আর ফিলিপিন্সের ওপর আরোপ হয়েছে ২০ শতাংশের শুল্ক।
অন্যদিকে, ব্রাযিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও ট্রাম্পের একান্ত বন্ধু জের বলসোনারোর বিরুদ্ধে বিচার শুরু হওয়ায়, দেশটির ওপর সবচেয়ে বেশি ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। ব্রাযিলের প্রেসিডেন্ট লুইয ইনাসিও লুলা ডি সিলভার কাছে পাঠানো শুল্কপত্রের ছবি, ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট বলসোনারোর সাথে যে আচরণ করা হচ্ছে, তা আন্তর্জাতিকভাবে লজ্জার।
তবে, এমন শুল্ক আরোপে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষ করে, শ্রীলঙ্কার মতো দেশের জিডিপি দেড় শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে বলে শঙ্কা জানিয়েছে আইএমএফ। সাউথ আফ্রিকার ওপর ৩০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে ক্ষতির মুখে পড়বে সেখানকার প্রধান কৃষি রপ্তানি - ফল, ওয়াইন এবং বাদাম। উৎপাদকরা বলছেন, শুল্কের কারণে দেউলিয়া হয়ে যাবেন কৃষকরা।
অন্যদিকে, খরচ বাড়বে দেশের জনগণেরও। অর্থ বাঁচাতে পণ্য কেনা বন্ধ করতে পারেন অনেক ভোক্তা। এতে করে প্রশাসন নাগরিকদের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হানলো বলে মনে করছেন, হোয়াইট হাউযের লেজিসলেইটিভ অ্যাফেয়ার্সের সাবেক ডিরেক্টর, মার্ক শর্ট।
তিনি বলেন, সীমান্ত সংকট মোকাবেলা, বাজেট বিল পাস সহ, গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে, শুল্ক আরোপের এমন পরিকল্পনা অন্য সব সাফল্যকে বিপন্ন করবে বলে ধারণা তার।
অন্যদিকে, তামার ওপর ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ৫০ শতাংশ শুল্ক মোকাবেলায় কাজ করছে মেক্সিকো। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবম বলেন, নিরাপত্তা, অভিবাসন এবং বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা করতে, আগামী শুক্রবার ওয়াশিংটনে যাচ্ছে মেক্সিকোর প্রতিনিধি দল।