রয়টার্সের খবর
১২ দিনের যুদ্ধ বন্ধে যেভাবে রাজি করানো হলো ইরানকে

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুন ২৩ ২০২৫, ২৩:৫৩ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৪ ২০২৫, ৪:৪০

অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ছবি: ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন, রয়টার্স ও বিআইসি

অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ছবি: ব্রুকিংস ইনস্টিটিউশন, রয়টার্স ও বিআইসি

  • 0

ট্রাম্পের সঙ্গে কাতারের আমিরের ফোনালাপের পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে।

ইরানে গত ১৩ জুন ইসরায়েলের হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধ বন্ধে তেহরান ও তেল আবিব সম্মত হয়েছে বলে সোমবার দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া পোস্টে তিনি এ দাবি করেন।

মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশের যুদ্ধ বন্ধের জন্য অ্যামেরিকা প্রস্তাব দিয়েছিল বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থাটির খবরে বলা হয়, অ্যামেরিকার প্রস্তাবের বিষয়ে ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুলরহমান আল থানি। তিনি ইরানের কর্মকর্তাদের অ্যামেরিকার প্রস্তাবের বিষয়ে রাজি করান।

সূত্রটি রয়টার্সকে আরও জানায়, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে ফোন করেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ফোনে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট কাতারের আমিরকে জানান, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। এ বিষয়ে তেহরানকে রাজি করাতে দোহার সাহায্য চায় তেল আবিব।

ট্রাম্পের সঙ্গে কাতারের আমিরের ওই ফোনালাপের পর মধ্যপ্রাচ্যের দেশটির প্রধানমন্ত্রী কথা বলেন ইরানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে।

কাতারে থাকা অ্যামেরিকার আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে সোমবার রাতে ইরানের হামলার পর যুদ্ধরত দুটি পক্ষের চুক্তির খবর প্রকাশ হয়।

ইরান থেকে মোট ১৯টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয় বলে দাবি করে কাতার সরকার। এগুলোর মধ্যে একটি আল উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে আঘাত করলেও কেউ হতাহত হয়নি। বাকি ১৮টি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

বন্ধুপ্রতিম দেশে অবস্থিত ঘাঁটিতে ইরানের এ হামলাকে ‘প্রতীকী’ আখ্যা দেন দোহা ইনস্টিটিউটের ক্রিটিক্যাল সিকিউরিটি স্টাডিজের সহকারী অধ্যাপক মুহানাদ সেলুম।