অফিসের আলো বন্ধ করা নিয়ে তর্ক, ম্যানেজারকে পিটিয়ে হত্যা

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২ ২০২৫, ৯:০০

অফিসে আলো জ্বালিয়ে রাখাই খুনের কারণ বলে জানায় পুলিশ। ছবি: টিবিএন গ্রাফিক্স

অফিসে আলো জ্বালিয়ে রাখাই খুনের কারণ বলে জানায় পুলিশ। ছবি: টিবিএন গ্রাফিক্স

  • 0

বাবুর উজ্জ্বল আলোর সমস্যা ছিল, তিনি প্রায়শই তার সহকর্মীকে প্রয়োজন ছাড়া আলো নিভিয়ে দেওয়ার জন্য জোর করতেন।

কর্মক্ষেত্রে আলো বন্ধ করার মতো তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই সহকর্মীর মধ্যে তর্ক-বিতর্ক নৃশংস হত্যাকাণ্ডে পরিণত হয়েছে।

শনিবার ভোরে পশ্চিম বেঙ্গালুরুর গোবিন্দরাজনগরের এমসি লেআউটের কাছে অবস্থিত একটি ডিজিটাল ভল্ট এবং ফটো-এডিটিং ফার্মের ৪১ বছর বয়সী এক কর্মচারীকে তার এক সহকর্মী ডাম্বেল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।

টাইমস অফ ইন্ডিয়া জানায়, নিহত ভীমেশ বাবু ওই ফার্মের ম্যানেজার ছিলেন। অভিযুক্ত ২৪ বছর বয়সী সোমালা বংশী একজন টেকনিক্যাল এক্সিকিউটিভ। তিনি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা।

হত্যার পর অভিযুক্ত সোমালা বংশী গোবিন্দরাজনগর থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বাবুর উজ্জ্বল আলোর সমস্যা ছিল, তিনি প্রায়শই তার সহকর্মীকে প্রয়োজন ছাড়া আলো নিভিয়ে দেওয়ার জন্য জোর করতেন।

নিহত বাবুর উজ্জ্বল আলোর সমস্যা হতো। তিনি প্রায়শই তার সহকর্মীকে প্রয়োজন ছাড়া আলো নিভিয়ে দেওয়ার জন্য জোর করতেন।

ঘটনার দিন স্থানীয় সময় রাত ১টার দিকে, বাবু যখন তাকে আলো নিভিয়ে দিতে বলেন, তখন ভামশি বিরক্ত হয়ে ওঠেন বলে জানা গেছে। এরপর তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়, যা দ্রুত তীব্র আকার ধারণ করে।

রাগের বশে, বংশী বাবুর দিকে মরিচের গুঁড়ো ছুঁড়ে মারে। এতেই ক্ষান্ত হননি তিনি। পরবর্তীতে একটি লোহার ডাম্বেল দিয়ে তার মাথা, মুখ এবং বুকে আঘাত করেন।

বাবু নিশ্চল হয়ে পড়লে আতঙ্কিত বংশী তার সহকর্মীদের সহায়তায় অ্যাম্বুলেন্স ডাকেন। অ্যাম্বুলেন্স কর্মীরা বাবুকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় একটি খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে। ডিসি গিরিশ এস নিশ্চিত করেছেন যে অফিসে আলো জ্বালিয়ে রাখাই খুনের কারণ।