১২ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থীর নাম লিয়াম মরিসন।
লিয়াম বলেছে, টিশার্টে বিতর্কিত মন্তব্য থাকায় ২১ মার্চ তাকে জিম ক্লাস থেকে বের করে দেয়া হয়। স্কুলের কর্মীরা তার শার্টের বিবৃতিটিকে ‘অনিরাপদ’ ভেবেছেন।
জনপ্রিয় টুইটার অ্যাকাউন্ট লিবসঅফটিকটক মরিসনের মন্তব্য তুলে ধরলে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।
মিডলবরো স্কুল কমিটি এপ্রিলের ১৩ তারিখ এক মিটিংয়ে এ ঘটনায় জড়িত সবার বক্তব্য জানতে চাইলে মরিসন বলে,’টিশার্টের শব্দগুলো আমার আশেপাশের মানুষকে অনিরাপত্তায় ভুগিয়েছিল। ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আগে আমাকে আমার টিশার্ট খুলে ফেলতে বলা হয়। তাদের সুন্দরভাবে বলেছিলাম, আমি শার্ট পরিবর্তন করতে চাই না, তখন তারা আমার বাবাকে ডেকেছিল।‘
বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মরিসন বলে, "ধন্যবাদ আমার বাবাকে, তিনি আমার সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছেন। আমার শার্টটি কী বলেছিল? পাঁচটি সহজ শব্দ- ‘লিঙ্গ পরিচয় শুধু দুটি (দেয়ার’স অনলি টু জেন্ডার)’। এই বাক্যে তো ক্ষতিকর কিছুই নেই। এমনকি এটি হুমকিমূলক কোনো বার্তাও নয়। শুধু একটি বিবৃতি যা আমি সত্যি বলে বিশ্বাস করি।"
মরিসন জানায়, তাকে বলা হয়েছিলো তার টিশার্টটি ‘একটি সুরক্ষিত শ্রেণিকে লক্ষ্যে পরিণত করে’ এবং এটি স্কুলের ‘শিক্ষা কার্যক্রমে বাধা দেয়’।
কর্তৃপক্ষের উদ্দেশে মরিসন বলে, ‘এই সুরক্ষিত শ্রেণি কারা? তাদের অনুভুতি কি আমার অধিকারের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ?’
লিয়াম মরিসন নিজের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলে,’যখন আমি স্কুল জুড়ে প্রাইড পতাকা এবং বৈচিত্র্যের পোস্টার ঝুলতে দেখি তখন তো আমি অভিযোগ করি না। আপনি কি জানেন কেন? কারণ অন্যদেরও ঠিক আমার মতোই নিজস্ব বিশ্বাসের অধিকার আছে।‘
অভিযোগ জানিয়ে মরিসন বলে, ‘আমাকে বলা হয়েছিল, শার্টটি পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটায়। কিন্তু কেউ ক্লাস থেকে বেরিয়ে আসেনি। কেউ কান্নায় ফেটে পড়েনি। আমি নিশ্চিত তারা এর কোনোটি করলে আমি লক্ষ্য করতাম। অথচ আমি প্রতিদিন আমার শেখায় ব্যাঘাত অনুভব করি। ক্লাসে বাচ্চারা নানারকম মিথ্যা অভিনয় করে, তারা নানাভাবে পাঠদানে বিঘ্ন ঘটায়, তবুও কিছুই করা হয় না। কেন নিয়ম একজনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়, কিন্তু অন্যজনের জন্য নয়?’
স্কুল কর্মীদের অমন ব্যবহারের পর মরিসন ভেবেছিল, নিজের কোনো দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত নয়। ওই দিন স্কুলে ফিরে যেতেও আপত্তি জানিয়েছিল সে।