তবে জেল খাটতে হবে না তাকে। থাকবেন নিজ বাড়িতেই। পরতে হবে ইলেকট্রনিক ট্যাগ, যা বন্দিদের ওপর নজরদারির জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
৬৮ বছর বয়সী সারকোযি প্রথম কোনো সাবেক ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট যিনি হেফাজতে সাজা পেলেন। তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় ২০২১ সালে; এর মধ্যে অন্য আরেকটি মামলায় বিচারককে প্রভাবিত করার অভিযোগে দেয়া হয় দুই বছরের স্থগিত কারাদণ্ড।
মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ২০১৪ সালে একটি আইনি তদন্ত সম্পর্কে গোপনে প্রভাব খাটিয়ে তথ্য বের করতে এক বিচারকের সঙ্গে গোপনে টেলিফোনে যোগাযোগ করেন সারকোযি। ঘুষের বিনিময়ে ওই বিচারককে উচ্চ পদ পাইয়ে দেয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন।
সারকোযির সঙ্গে জড়িত কয়েকটি দুর্নীতির মামলার মধ্যে এটি একটি। তবে তিনি নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
সারকোযির আইনজীবী জ্যাকুলিন লাফন্ট বলেন, 'নিকোলা সারকোযি নির্দোষ, আমরা এ নিয়ে সব মহলে যেতে চাই।'
লাফন্ট জানান, এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করবেন তিনি।
লিবিয়া থেকে অবৈধ প্রচারণার তহবিল দেয়ার অভিযোগ সহ আরও কয়েকটি তদন্তের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। ফ্রান্সের প্রসিকিউটররা গত ১১ মে জানান, লিবিয়ার সাবেক নেতা মোয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে ২০০৭ সালের প্রেসিডেন্সিশিয়াল ইলেকশনে মিলিয়ন ইউরো চাওয়ায় সারকোযি এবং আরও ১২ জনের বিচার হওয়া উচিত।