
ইরানের পরমাণু নিয়ে কেন ভয় পাচ্ছে অ্যামেরিকা?

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ১৯ ২০২৫, ১১:৪৯

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র। ফাইল ছবি
- 0
ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে পারে এমন শঙ্কা করছে অ্যামেরিকাসহ তার মিত্ররা। ইরান যদিও দাবি করে, তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ।
ইরান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে তাহলে সৌদি আরব, তুরস্ক বা মিসরের মতো দেশগুলোও পারমাণবিক অস্ত্রের দিকে ঝুঁকতে পারে। এতে মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা শুরু হবে এবং গোটা অঞ্চল অস্থির হয়ে উঠতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
বিশ্ব নিরাপত্তার স্বার্থে ইরানের সঙ্গে পরমাণু প্রযুক্তি নিয়ে একি শান্তিপূর্ণ চুক্তিতে পৌঁছাতে চান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এই দাবি করে বলেন, ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার কোন সুযোগ দেয়া হবে না।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, স্টিভ উইটকফ আলোচনার বাস্তবতা সম্পর্কে অবগত নন।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প গত শুক্রবার দাবি করেন, ইরান অ্যামেরিকার কাছ থেকে একটি পারমাণবিক চুক্তির প্রস্তাব পেয়েছে।
তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি তারা দ্রুত এই চুক্তির ব্যাপারে পদক্ষেপ না নেয় তবে খারাপ কিছু ঘটবে।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানান, ইরান অ্যামেরিকার কাছ থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো লিখিত প্রস্তাব পায়নি।
সেই সঙ্গে তিনি জানান, এমন কোনো পরিস্থিতি নেই যেখানে ইরান শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে কষ্টার্জিত পরমাণু সমৃদ্ধকরণের অধিকার ত্যাগ করবে।
ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলছেন, ‘ইরানের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ চুক্তি চান ডনাল্ড ট্রাম্প। তবে কোনো ভাবেই ইরানকে ইউরোনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কোন সুযোগ দেয়া হবে না।’
ডনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর ও ইরান নিয়ে করা মন্তব্যকে এরি মধ্যে ‘মিথ্যা ও ভণ্ডামীপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানও ট্রাম্পের শান্তির আহ্বানকে ভণ্ডামি বলে উল্লেখ করেছেন।
স্টিভ উইটকফ বলছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবস্থান খুব স্পষ্ট।
রবিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি উইটকফের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, পরমাণু আলোচনার বাস্তবতা সম্পর্কে ট্রাম্পের বিশেষ দূত অবগত নন।
আরাগচি আরও অভিযোগ করেন, ওয়াশিংটন তাদের অবস্থান বারবার পরিবর্তন করে। বারবার নতুন শর্ত আরোপ আলোচনাকে দীর্ঘায়িত করছে যা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।
গত সপ্তাহে ওমানে ইরান-অ্যামেরিকা পারমাণবিক আলোচনার চতুর্থ দফা শেষ হয়। পরবর্তী বৈঠকের দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি। তবে স্পষ্ট হয়ে উঠছে দু’পক্ষের মধ্যে অনাস্থা ও বিভ্রান্তি আরো গভীর হচ্ছে।