তিনি সেইন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামকে জানান, রাশিয়ার যেকোনো ভূখণ্ড কিংবা তাদের রাষ্ট্র সার্বভৌমত্বের হুমকির মুখে পড়লেই কেবল এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে। গ্রীষ্মের শেষ হওয়ার আগেই বেলারুশে পারমাণবিক ওয়ারহেড মোতায়নের কাজ শেষ করা হবে।
বেলারুশ রাশিয়ার বন্ধু দেশগুলোর মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুতিন ইউক্রেইনে পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণের ঘোষণা দেয়ার পর রাশিয়া গত ফেব্রুয়ারিতে বেলারুশকে ইউক্রেইন হামলার লঞ্চপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করেছে।
পুতিন বলেন, ‘আমাদের পরাজয়ের পরিকল্পনাকারী পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে এমন পদক্ষেপ জরুরি।’
এসব পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করা হবে কিনা ফোরামের মডারেটরের এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা কেন পুরো বিশ্বকে হুমকি দেব? আমি আগেই বলেছি, রাশিয়ার সার্বভৌমত্বে আঘাত হানলে চরম বিপদজনক ব্যবস্থা নিতেও পিছু পা হব না।’
তবে অ্যামেরিকান সরকারের দাবি, ক্রেমলিন ইউক্রেইনে হামলায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের কোন পরিকল্পনার ইঙ্গিত দেয়নি।
পুতিনের মন্তব্যের পর অ্যামেরিকার ফরেইন মিনিস্টার অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেইনে আক্রমণের জন্য পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন কোনো ইঙ্গিত আমরা এখনও দেখতে পাচ্ছি না।