নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তিন কর্মকর্তার বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তারা বৃহস্পতিবার এই চুক্তির আলোচনা করেছেন। ঋণসীমা দুই বছর বাড়ালেও এই সময়ের মধ্যে খরচ কমাতে কড়া বিধিনিষেধ আরোপের কথাও ভাবছেন তারা। সামরিক বাহিনীর সদস্য বা প্রবীণদের ক্ষেত্রে অবশ্য তা শিথিল হবে।
কর্মকর্তা ও আইনপ্রণেতারা ঋণসীমা বাড়ানোর চুক্তিতে পৌঁছাতে তড়িঘড়ি করছেন। কারণ তা না হলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে অ্যামেরিকা ঋণখেলাপি হয়ে যাবে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই পক্ষের আলোচনার পর কর্মকর্তারা এই চুক্তির খসড়া তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
হাউয স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি বৃহস্পতিবার ক্যাপিটল হিল থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দিনভর হাউযে আলোচনা চালিয়েছি। চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। তবে সংকটের দ্রুত সমাধানের জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি।’
রিপাবলিকান ও ডেমোক্যাটিক দল ঋণসীমা বাড়াতে চুক্তিতে পৌঁছালেও তা নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় কংগ্রেসের দুই চেম্বারে পাস হতে অন্তত ৭২ ঘণ্টা সময় লাগবে।
ট্রেযারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন সতর্ক করে জানিয়েছেন, ৩১.৪ ট্রিলিয়ন ঋণ রয়েছে সরকারের। সেটি শোধ করার সময়সীমা শেষ হবে ১ জুন। এর মধ্যে ঋণসীমা বাড়াতে ব্যর্থ হলে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো খেলাপি হবে অ্যামেরিকা।
এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে সরকারি খাত থেকে অনুদান নিয়ে চলা প্রতিটি সংস্থা বা কার্যক্রম এমনকি ফেডারেল কর্মচারীদের বেতন-ভাতার ওপরও।