চলে গেলেন ৫০ দশকের জনপ্রিয় পপ শিল্পী টনি ব্যানেট। ছবি: এবিসি নিউজ
0
কিংবদন্তি পপশিল্পী, চিত্রশিল্পী ও ফিলান্থ্রোপিস্ট ক্রুনার টনি ব্যানেট মারা গেছেন। তার পাবলিশিস্ট এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, নিউ ইয়র্ক সিটির নিজ বাড়িতে শুক্রবার সকালে ৯৬ বছর বয়সী তার মৃত্যু হয়েছে।
ব্যানেট ২০১৬ সাল থেকে আলঝেইমার রোগে ভুগছিলেন।
সাত দশকের ক্যারিয়ারে ১৯৫০ এর দশকে টিনএজারদের মাতিয়ে রেখেছিলেন ব্যানেট। লেডি গাগার সঙ্গে ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ট্যুর দিয়েছেন জনপ্রিয় এই শিল্পী।
ব্যানেটের প্রকৃত নাম অ্যান্থনি ডমিনিক বেনেডেটর। নিউ ইয়র্কের কুইন্সে তার জন্ম। ছোটবেলা থেকেই পপ হিটস, জ্যায টিউনস ও গ্রেট অ্যামেরিকান সংবুক গাইতে পারদর্শী ছিলেন ব্যানেট।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও অংশ নিয়েছিলেন এই পপ শিল্পী। বেশ কিছুদিন সঙ্গীত থেকে দূরে থাকার পর ১৯৪৯ সালে প্রথম ব্রেক পান এই তিনি। বব হোপের ট্যুরের মাধ্যমে পেশাদার সঙ্গীতে যাত্রা শুরু করেন তিনি।
এরপর কলম্বিয়া রেকর্ডসে সই করে ৫০ এর দশকে বেশ কয়েকটি হিট উপহার দেন। এর মধ্যে রয়েছে ‘বিকজ অফ ইউ’, ‘কোল্ড, কোল্ড হার্ট’, ‘র্যাগস টু রিচেস্ট’, ‘স্ট্রেইঞ্জার ইন প্যারাডাইজ’ এর মতো জনপ্রিয় সব গান।
ব্যানেট ১৯৬২ সালে সিগনেচার সং ‘আই লেফট মাই হার্ট ইন স্যান ফ্রান্সিস্কো’ প্রকাশ করেন। বিলবোর্ড ১০০ চার্টে মাত্র ১৯ নাম্বারে থাকলেও এই গান তাকে এনে দেয় দুটি গ্র্যামি পুরস্কার ও রেকর্ড অফ দ্য ইয়ার।
ব্যক্তিগত জীবনে এই শিল্পী বিয়েবিচ্ছেদ, ম্যানেজারহীন ক্যারিয়ার নিয়ে বহু বছর ডিপ্রেশনে ভুগেছেন।
পপ জগতে জনপ্রিয় শিল্পী ব্যানেট একজন সিভিল রাইটস অ্যাক্টিভিস্টও। তিনি সিভিল রাইটস মুভমেন্টের প্রকাশ্য সমার্থক ছিলেন ও ১৯৬৫ সালে সেলমা থেকে মন্টেগোমেরি, অ্যালবামায় ড. মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের সঙ্গে যাত্রা করেছিলেন।
একজন মানবতাবাদী ও ফিলান্থ্রোপিস্ট হিসেবে অবদান রাখায় ‘টনি বেনেফিট’ নামেও পরিচিতি পান ব্যানেট।
স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশনসহ বিশ্বের বিভিন্ন নামকরা গ্যালারিতে চিত্রশিল্পী হিসেবেও তিনি সুনাম অর্জন করেন।