বুড়িগঙ্গায় ওয়াটার বাসডুবিতে ৩ মরদেহ উদ্ধার, নিখোঁজ অনেকে

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ১৭ ২০২৩, ২:১৪

বুড়িগঙ্গা নদীতে ওয়াটার বাসডুবির পর উদ্ধার তৎপরতা। ছবি: সংগৃহীত

বুড়িগঙ্গা নদীতে ওয়াটার বাসডুবির পর উদ্ধার তৎপরতা। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

ঢাকার সদরঘাটের লালকুঠিঘাট এলাকার বুড়িগঙ্গা নদীতে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের ধাক্কায় প্রায় অর্ধশত যাত্রী নিয়ে ওয়াটার বাস ডুবে গেছে। এ ঘটনায় তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ওয়াটার বাসটির ১০ থেকে ১৫ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাকিরা নিখোঁজ বলে দাবি করছেন প্রাণে বেঁচে যাওয়া কয়েক যাত্রী।

সাঁতরে তীরে ওঠা যাত্রী আবুল হোসেন জানান, ওয়াটার বাসটি সামপুর লালকুঠি ঘাট থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের তেলঘাটের উদ্দেশে রওনা দেয়।মাঝ নদীতে যাওয়ার পর বুড়িগঙ্গা নদীর প্রথম সেতুর দিক থেকে আসা এমভি আরাবি নামে একটি বালুবোঝাই বাল্কহেড ওয়াটার বাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে সেটি ডুবে যায়।

ওয়াটার বাসের উপরে থাকা যাত্রীদের কেউ কেউ সাঁতরে তীরে উঠেছেন। এছাড়া আশপাশের নৌকার মাঝিরা অনেককে তীরে উঠতে সাহায্য করে।

সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল রাত ৯টার দিকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।

ওয়াটার বাসের এক যাত্রী আলী হোসেন বলেন, ‘আমি কেরানীগঞ্জের তেলঘাট যাওয়ার জন্য লালকুঠি ঘাট থেকে ওয়াটার বাসে উঠি। নিচে বসার জায়গা না পেয়ে ছাদে বসেছিলাম। আমার জানা মতে, ওয়াটার বাসটিতে প্রায় ৫০ জন যাত্রী ছিল। বাল্কহেড ধাক্কা দেয়ার পর আমিসহ কয়েক জন সাঁতরাতে থাকি। পরে আশপাশের নৌকার মাঝিরা এসে উদ্ধার করেন।’

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম জানান, সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ও সদরের একটি ইউনিট উদ্ধার কাজ করে যাচ্ছে। নিখোঁজদের মধ্যে সাতজনকে উদ্ধার করা হয়েছে।সবাইকে মিটফোর্ড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

সদরঘাট নৌথানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘ওয়াটার বাসটিতে প্রায় ৫০ জনের মতো যাত্রী ছিল। বেঁচে যাওয়া যাত্রীদের ভাষ্য অনুযায়ী ৩০ থেকে ৩৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। বাল্কহেডটিকে আটক করা হয়েছে।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন