অভিবাসন হেফাজত থেকে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েট ও ফিলিস্তিনপন্থি অধিকারকর্মী মাহমুদ খলিলকে শুক্রবার মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন অ্যামেরিকার এক বিচারক।
একে অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর জন্য বড় বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এসব সংগঠনের অভিযোগ, ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন খলিলের মতো ফিলিস্তিনপন্থি অধিকারকর্মীদের অবৈধভাবে লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে।
অ্যামেরিকান ক্যাম্পাসগুলোতে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে সামনের সারিতে ছিলেন মাহমুদ খলিল। অভিবাসন আইন বাস্তবায়ন এজেন্টরা ম্যানহাটনে কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির আবাসস্থল থেকে গত ৮ মার্চ তাকে গ্রেপ্তার করে।
উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে ফিলিস্তিনপন্থি আন্দোলনকে ইহুদিবিদ্বেষী আখ্যা দেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তিনি আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিতাড়নের প্রতিজ্ঞা করেন।
ট্রাম্প বিক্ষোভে ইহুদিবিদ্বেষ দেখলেও গত বছর সিএনএন ও অন্যান্য সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে খলিল ইহুদিবিদ্বেষ ও বর্ণবাদের সমালোচনা করেন।
বৈধভাবে অ্যামেরিকায় স্থায়ী বসবাস করা খলিল অভিযোগ করেন, সংবিধানের প্রথম সংশোধনী লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক বক্তব্যের জন্য তাকে সাজা দেওয়া হচ্ছে।
অ্যামেরিকার নাগরিক নন, এমন কোনো ব্যক্তির কর্মকাণ্ড দেশটির পররাষ্ট্রনীতির স্বার্থের প্রতিকূল মনে হলে তাকে বিতাড়ন করার আইন রয়েছে। খুব কম ব্যবহৃত সে আইনের প্রয়োগ করে খলিলকে আটক থাকতে বাধ্য করেছেন সেক্রেটারি অব স্টেইট মার্কো রুবিও।
নিউ জার্সির নিউয়ার্কের ডিস্ট্রিক্ট জাজ মাইকেল ফারবিয়ারজ গত ১১ জুন এক আদেশে বলেন, আটক রেখে খলিলের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করেছে সরকার, তবে গত ১৩ জুন লুইজিয়ানার জেনার একটি আটক কেন্দ্র থেকে খলিলকে মুক্তি দিতে অসম্মতি জানান বিচারক।
এর আগে ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, বৈধভাবে বসবাসের আবেদনের বিষয়ে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন খলিল। আলাদা সে অভিযোগে তাকে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট-আইসের আটক কেন্দ্রে বন্দি রাখা হয়েছে।
বিচারক আদেশে বলেন, শুক্রবারই মুক্তি পাচ্ছেন মাহমুদ খলিল।