প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের একতরফা শুল্কারোপ বেআইনি: ফেডারেল আদালত

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: মে ২৯ ২০২৫, ১:৪৩

ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • 0

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বজুড়ে একতরফাভাবে শুল্কারোপ করার কোনো এখতিয়ার রাখেন না। বুধবার, ইউএস কোর্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের বিচারকদের একটি প্যানেল এ রায় দিয়েছে।

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের ওপর প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের একতরফা শুল্কারোপকে অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করেছে ফেডারেল আদালত। পাশাপাশি আরোপিত শুল্কগুলো স্থায়ীভাবে বাতিলও করা হয়েছে। বুধবার পাঁচটি ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইউএস কোর্ট অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডের বিচারকদের একটি প্যানেল এ রায় দিয়েছে। ট্রাম্পের এই শুল্ক আরোপকে আইনবহির্ভুত ক্ষমতার অপব্যবহার হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন তারা।

আদালত বলছে, ট্রাম্প যে জরুরি ইন্টারন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ইকোনমিক পাওয়ার অ্যাক্ট ব্যবহার করে ৫০টিরও বেশি দেশের ওপর শুল্ক আরোপ করেছিলেন, তা এই আইনের কাঠামোতে পড়ে না।

বাদীপক্ষের আইনজীবী জেফরি শ্যাব বলেন, এই তথাকথিত জরুরি পরিস্থিতি কেবল ট্রাম্পের কল্পনা। বহু দশক ধরে চলমান বাণিজ্য ঘাটতি কোনো অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেনি বলে দাবী করেন তিনি।

এদিকে, শুল্ক নীতি আর বাজেট কাটছাঁটের ফলে নানারকম সংকটের মুখে পড়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। উচ্চ শুল্কের ফলস্বরূপ ৩৫ শতাংশ কমেছে লস অ্যাঞ্জেলেস বন্দরে। এছাড়া, দেশজুড়ে ব্যবসায়ীরা কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়ছেন। অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে পণ্য কিনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়েই বাড়াতে হচ্ছে পণ্যের দাম।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, মূল্য বাড়ায় গ্রাহক কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে অন্যদিকে দাম না বাড়ালে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা অসম্ভব।

ওদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের বাজেট কাটছাঁট ও কর্মী ছাটাইয়ের ফলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের ন্যাশনাল পার্কগুলো। কর্মীর অভাবে অপরিষ্কার অবস্থায় পড়ে আছে পার্কের বাথরুম আর আশপাশের পরিবেশ ।

ট্রাম্প প্রশাসনের প্রস্তাবিত বাজেটে ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস এর জন্য ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি কাটের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা পার্কগুলোর কার্যক্রমের ২৫ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে। এই বাজেট কাটের ফলে ৩০০টিরও বেশি উদ্যানের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে ন্যাশনাল পার্ক সার্ভিস এর ১,০০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে, যার ফলে উদ্যানগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, নিরাপত্তা ও পরিষেবা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।