জিনপিংকে স্বৈরশাসক বলা বাইডেনের নির্লজ্জ উসকানি: চায়না

টিবিএন ডেস্ক

জুন ২১ ২০২৩, ১৮:০৪

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গত নভেম্বরে চায়নার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে গত নভেম্বরে চায়নার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা মেটাতে কেবলই আলোচনার পথ পরিষ্কার করেছিলেন অ্যামেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেইট অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং চায়নার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও সেদেশের শীর্ষ কূটনীতিকরা। এর মধ্যেই অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জিনপিংকে নিয়ে করা মন্তব্যে ফের ক্ষেপেছে চায়না।

ক্যালিফোর্নিয়ায় সফরে গিয়ে মঙ্গলবার এক সমাবেশে প্রেসিডেন্ট বাইডেন চায়নার প্রেসিডেন্টকে ‘স্বৈরশাসক’ বলে অভিহিত করেছেন। এর কঠোর সমালোচনা করে ক্ষোভ ঝেড়েছেন চায়নার পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের মুখপাত্র মাও নিং। জানিয়েছেন, বাইডেনের এমন বক্তব্য খুবই অযৌক্তিক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন।

তিনি নিয়মিত ব্রিফিংয়ের সময় বুধবার বলেন, ‘বাইডেনের ওই মন্তব্য একেবারেই ভিত্তিহীন। এ ধরনের মন্তব্য কূটনৈতিক প্রটোকল ও চায়নার রাজনৈতিক মর্যাদা গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এটি পুরোপুরি নির্লজ্জ রাজনৈতিক উসকানি। চায়না এর তীব্র অসন্তোষ ও বিরোধীতা করেছে।’

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাও নিংয়ের এই বক্তব্যে স্পষ্ট যে চায়না বাইডেনের কথায় বেশ ক্ষেপেছে। একে করে সম্পর্ক উন্নয়নের যে প্রচেষ্টা কেবল শুরু হয়েছে, তা ভেস্তে যেতে পারে। আগামীতে আর কোনো অ্যামেরিকান প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে চায়না রাজি নাও হতে পারে।

দীর্ঘদিনের তিক্ততা মেটানোর প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গত রোববার ও সোমবার চায়নায় শীর্ষ কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সেক্রেটারি অফ স্টেইট ব্লিনকেন। চায়নার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তিনি।

এরপর ব্লিনকেন ও জিনপিং দুজনই জানিয়েছেন, দুপক্ষের মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে, দুদেশের সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে তারা একমত হয়েছেন।

এর পরদিনই ক্যালিফোর্নিয়ায় এক ইভেন্টে অ্যামেরিকান প্রেসিডেন্ট বলেছেন, গত ফেব্রুয়ারিতে দেশের আকাশে উড়তে থাকা চাইনিজ স্পাই বেলুন ভূপতিত করায় ক্ষেপেছেন জিনপিং।

বাইডেন বলেন, ‘গোয়েন্দাগিরির যন্ত্রপাতি নিয়ে উড়তে থাকা ওই চাইনিজ বেলুন আমি ভূপতিত করেছি বলে শি জিনপিন বেশ ক্ষেপেছেন। তিনি নাকি জানতেনই না ওই স্পাই বেলুন কোথায় উড়ছে… এত বড় বিষয় না জানা তো একজন স্বৈরশাসকের জন্য বেশ বিব্রতকরই।’

এই বক্তব্যের পর তিনি ব্লিনকেনের চায়না মিশনে বেশ সন্তোষও প্রকাশ করেছেন।

বৈঠকের বিষয়ে বাইডেন বলেন, ‘তিনি (ব্লিনকেন) দারুণ কাজ করেছেন… আমরা ঠিক পথেই আছি।’

বৈঠকে অ্যামেরিকার পক্ষ থেকে কোনো অগ্রগতি হয়েছে বলে মনে করেন কিনা- এমন প্রশ্নে প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি মনে করি না, আমি জানি অগ্রগতি হয়েছে। আপনারাও জানেন, এটা নিয়ে প্রশ্ন করার কিছু নেই। বরং জানতে চাইতে পারেন, কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন