ইযরায়েলে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমানোর প্রথম বিল পাস

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ২৪ ২০২৩, ১৫:৫০

বিচার বিভাগীয় সংস্কারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন ইযরায়েলি জনতা। ছবি: সংগৃহীত

বিচার বিভাগীয় সংস্কারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন ইযরায়েলি জনতা। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

ইযরায়েলে চলমান বিক্ষোভের মধ্যেই বিচার বিভাগীয় সংস্কারের বিলের একটি অংশ অনুমোদন করেছেন আইনপ্রণেতারা। দেশটির পার্লামেন্টে সোমবার ভোট শেষে অনুমোদনের মধ্য দিয়ে বিলটি আইনে পরিণত হয়।

ইযরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রস্তাবিত এই আইন অনুযায়ী সরকারের কোনো পদক্ষেপ বাতিলের ক্ষমতা আর থাকেছে না সুপ্রিম কোর্টের হাতে।

দেশটির বিরোধী দলীয় পার্লামেন্ট মেম্বাররা এই বিল ঠেকাতে ব্যাপক বিক্ষোভ করেন। চূড়ান্ত ভোটও বয়কট করেন। এরপর ৬৪-০ ভোটে বিলটি আইনে পরিণত করে নেতানিয়াহু সরকার।

সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমিয়ে দেয়ার এমন আরও কিছু বিল পাসের অপেক্ষায় রয়েছে। সমালোচকরা জানান, এসব বিল অনুমোদনের ফলে আদালতের ক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে। আইনপ্রণেতাদের কেউ দায়িত্ব পালনে অযোগ্য হলেও তাকে অপসারণ করাটা আদালতের জন্য আগের চেয়ে কঠিন হয়ে যাবে।

বিচার বিভাগ সংস্কারের নেতানিয়াহু সরকারের এই বিল ইযরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটিয়েছে। এর জেরে গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।

অ্যামেরিকাসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন বলেছে, বিচার বিভাগের সংস্কার ইযরায়েলের গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

অবশ্য নেতানিয়াহু সরকারের দাবি, ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতাকে ঠিক করতে এই সংস্কার প্রয়োজন। কারণ রাজনৈতিক বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপ সম্প্রতি বেড়েছে।

ইযরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে বিরোধী দলীয় নেতা ইয়ার ল্যাপিড নেতানিয়াহুর পদক্ষেপটিকে ‘ইযরায়েলি সংখ্যাগরিষ্ঠের ওপর একটি সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর অনৈতিক চাপ’ বলে উল্লেখ করেছেন।

অবশ্য ইযরায়েলের জাস্টিস মিনিস্টার ইয়ারিভ লেভিন পার্লামেন্ট মেম্বারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিচার ব্যবস্থা সংশোধনে একটি ঐতিহাসিক প্রক্রিয়ার প্রথম পদক্ষেপ নিতে পেরেছি।’

নেসেটে ভোটের আগে সোমবার সকাল থেকে বাইরে বিক্ষোভে জড়ো হন অনেকে। তারা ড্রাম, হুইসেল ও এয়ার হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ করতে থাকেন। তাদের সরিয়ে দিতে ওয়াটার ক্যানোন স্প্রে করে পুলিশ।

এ সময় এক বিক্ষোভকারী আহত হন, আটক করা হয় ছয় জনকে।

বিক্ষোভকারীদের একজন রেয়ুত ইয়েফাত উযয়েল বলেন, ‘নেতানিয়াহু দেশকে অপরহণ করেছেন। আমার আশঙ্কা, দেশে এখন ধর্মতন্ত্র চালু হবে।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন