
স্বামীর সম্পত্তি পেতে আদালতে মুখোমুখি কারিশমা কাপুর ও প্রিয়া কাপুর

টিবিএন ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১০ ২০২৫, ১১:১২ হালনাগাদ: ডিসেম্বর ৩ ২০২৫, ১০:৫৭
.jpg)
পরিবারের সাথে প্রয়াত সঞ্জয় কাপুর। ছবি: ইন্ডিয়া টিভি নিউজ
- 0
যেসব ভালোবাসার দাবি করা হচ্ছে সেটি তখন কোথায় ছিল, যখন সাবেক স্ত্রী কারিশমা সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ ডিভোর্স মামলা লড়েছিলেন? কারিশমাকে প্রশ্ন প্রিয়া কাপুরের।
শিল্পপতি সঞ্জয় কাপুরের মৃত্যুর পর তার সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ক্রমেই জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। সঞ্জয় কাপুরের মায়ের পর এবার সম্পত্তির ভাগ পেতে আদালতে কারিশমা কাপুরের সন্তানরা।
প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি নিয়ে বুধবার আদালতে বড় আইনি লড়াই শুরু হয়েছে।তবে আদালতে সঞ্জয়ের স্ত্রী প্রিয়া সচদেব কাপুর তার সৎ সন্তানদের দাবি চ্যালেঞ্জ করেন।
কারিশমা কাপুরের দুই সন্তান আদালতে দেয়া আবেদন জানায় যে, সঞ্জয়ের ২১ মার্চের উইলটি ভুয়া হতে পারে। ওই উইলে লেখা আছে, তার সব ব্যক্তিগত সম্পত্তি স্ত্রী প্রিয়া কাপুরকে দেওয়া হবে। কিন্তু সন্তানদের দাবি, সঞ্জয় কখনোই এই উইলের কথা কাউকে বলেননি।
সঞ্জয় কাপুর গত ১২ জুন ইংল্যান্ডে পোলো খেলার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান। সন্তানরা তাদের বাবার সম্পত্তি থেকে সমানভাবে পাঁচ ভাগের এক ভাগ করে চেয়েছে। মেয়ে সামাইরা মায়ের মাধ্যমে (পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিয়ে) আবেদন করেন এবং ছেলে কিয়ান যেহেতু অপ্রাপ্তবয়স্ক, তাই মা কারিশমাই তার অভিভাবক হয়ে প্রতিনিধিত্ব করছেন।
শুনানিতে বিচারপতি জ্যোতি সিংয়ের সামনে প্রিয়া কাপুরের আইনজীবী রাজীব নায়ার বলেন, এই মামলা মোটেও বহালযোগ্য নয়। কেননা প্রিয়া তার আইনসম্মত স্ত্রী। যেসব ভালোবাসার দাবি করা হচ্ছে সেটি তখন কোথায় ছিল, যখন সাবেক স্ত্রী কারিশমা সুপ্রিম কোর্টে দীর্ঘ ডিভোর্স মামলা লড়েছিলেন?
আদলতে প্রিয়া দাবি করেন, কারিশমার সন্তানরা আরকে ফ্যামিলি ট্রাস্টের অধীনে ১,৯০০ কোটি টাকার সম্পদ পেয়েছে।
সঞ্জয়ের সন্তানরা সম্পত্তি ভাগ, হিসাব-নিকাশ এবং বিবাদীদের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন। মামলায় বিবাদী হিসেবে নাম রয়েছে— স্ত্রী প্রিয়া কাপুর, তাঁর নাবালক ছেলে, শাশুড়ি রানি কাপুর এবং উইলের কথিত এক্সিকিউটর শ্রদ্ধা সুরি মারওয়ার।
সন্তানদের আইনজীবী মহেশ জেঠমলানি আদালতে বলেন, প্রথমে প্রিয়া কাপুর দাবি করেছিলেন কোনো উইল নেই। পরে ৩০ জুলাই আরকে ফ্যামিলি ট্রাস্টের বৈঠকে হঠাৎ জানানো হয় যে, সঞ্জয় কাপুর একটি উইল রেখে গেছেন। সন্তানদের অভিযোগ, প্রিয়ার ঘনিষ্ঠ সহযোগীরা সাত সপ্তাহ ধরে ওই কথিত উইল গোপন করেন।
তারা আরও দাবি করেন— সামাইরা ও কিয়ান বৈধ উত্তরাধিকারী, অথচ বাবার শেষকৃত্যের আগের দিনই প্রিয়াকে ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণকারী কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর বানানো হয়। তাদের অভিযোগ, উইলটি জাল এবং রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি।
প্রিয়া কাপুরের আইনজীবী রাজীব নায়ার বলেন, ভারতের সুপ্রিম কোর্টে উইল রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক নয়। তবে বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে— শিশুদের উইলের কপি কেন দেওয়া হয়নি? উইল কোথায়?
আদালত নির্দেশ দিয়েছে— দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রিয়া কাপুরকে উত্তর দিতে হবে এবং তার কাছে থাকা সব স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির তালিকা জমা দিতে হবে। মামলার পরবর্তী শুনানি ৯ অক্টোবর।