প্রতিষ্ঠানের প্রেসিডেন্ট ডেভিড য্যাস্ল্যাব বলেন, ‘ব্যক্তিগত ও পেশাগত দিক থেকে ক্রিসের প্রতি আমি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল। নানারকম বাধা ও রূপান্তরের এই সময়ে সিএনএনের নেতৃত্ব দেয়া কখনই সহজ কাজ ছিল না। তবে ক্রিস নিজের সবটুকু দিয়ে এর জন্য কাজ করেছেন।’
পদত্যাগের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি লিচ।
সিএনএনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের এপ্রিলে সংবাদমাধ্যমটির চেয়ারম্যান ও সিইওর পদ পান লিচ। এর আগে তিনি সিবিএসের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘দ্য লেট নাইট শো উইথ স্টিফেন কোলবার্ট’- এর এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার ছিলেন। এছাড়া তুমুল জনপ্রিয় এমএসএনবিসির ‘মর্নিং জো’ ও ‘সিবিএস সানডে মর্নিং’ অনুষ্ঠানের প্রডিউসারও ছিলেন তিনি।
তবে সিএনএনে যোগ দেয়ার পর তাকে একের পর এক নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হয়। দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমেই তিনি সিএনএনের স্ট্রিমিং নেটওয়ার্ক সিএনএন প্লাস বন্ধ করে দেন। এটিকে সিএনএনের স্ট্রিমিংয়ের ভবিষ্যৎ হিসেবে দেখেছিলেন আগের চেয়ারম্যান জেফ যাকার। আর যাকার কর্মীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন। এ কারণে শুরুতেই কর্মীদের সমালোচনার মুখে পড়েন লিচ।
এরপর গত ডিসেম্বরে বড় ধরনের কর্মী ছাঁটাইয়ের কারণে লিচের প্রতি অসন্তোষ বাড়তে থাকে। তিনি সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হন গত মাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে নিয়ে টাউন হল সাক্ষাৎকারের আয়োজন করার কারণে।
সব মিলিয়ে প্রতিষ্ঠানের ভেতরে ও বাইরে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়ায় পদত্যাগে বাধ্য হলেন লিচ।