ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কর্তৃক ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েন বৃহস্পতিবার স্থগিত করেছেন ফেডারেল এক বিচারক।
এর মধ্য দিয়ে স্থানীয় নেতাদের বিরোধিতা সত্ত্বেও অ্যামেরিকার বিভিন্ন শহরে সেনা পাঠানোর ট্রাম্পের চেষ্টায় সাময়িক বাধা দিলেন ডিস্ট্রিক্ট জাজ জিয়া কব।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিযুক্ত এ বিচারক রাজধানী শহরের মেয়রের অনুমতি ছাড়া আইন প্রয়োগে ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েন সাময়িক আটকে দেন।
আগামী ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে এ স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে ট্রাম্প প্রশাসন।
অভ্যন্তরীণ আইন প্রয়োগে ট্রাম্পের সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন ডিসির পাশাপাশি দেশের অন্য জায়গাগুলোতেও চলছে আইনি লড়াই।
গত ১১ আগস্ট ট্রাম্প ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের ঘোষণা দেন। এরপর ৪ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে মামলা করেন ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল ব্রায়ান শোয়াব।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ট্রাম্প অবৈধভাবে শহরের আইনশৃঙ্খলা প্রয়োগের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছেন। একই সঙ্গে তিনি সেনাদের অভ্যন্তরীণ পুলিশিং নিষিদ্ধ করা একটি আইন লঙ্ঘন করছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের আইনজীবীরা এ মামলাকে রাজনৈতিক স্টান্টবাজি আখ্যা দিয়ে জানান, স্থানীয় নেতাদের অনুমোদন ছাড়াই ওয়াশিংটন ডিসিতে সেনা মোতয়েন করতে পারেন প্রেসিডেন্ট।
প্রশাসনের ভাষ্য, সেনারা আইনি প্রক্রিয়ায় তাদের কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন এবং সফলভাবে অপরাধ হ্রাস করছেন।
ওয়াশিংটন ডিসির পাশাপাশি লস অ্যাঞ্জেলেস, শিকাগো ও ওরেগনের পোর্টল্যান্ডেও সেনা মোতায়েনের পদক্ষেপ নেন ট্রাম্প।
তার ভাষ্য, অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে তার কঠোর ব্যবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট ‘অরাজকতা’ ও সহিংস উত্তেজনার কারণে তিনি এমন পদক্ষেপ নিয়েছেন।
এসব শহরের দায়িত্বে থাকা ডেমোক্র্যাটিক নেতারা এ ধরনের সেনা মোতায়েন আটকাতে মামলা করেন।
তাদের ভাষ্য, ট্রাম্পের এ ধরনের পদক্ষেপ ক্ষমতার সামরিকীকরণের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক শত্রুদের শাস্তি দেওয়া।