নিয়ন্ত্রক ও আইনপ্রণেতাদের মধ্যে দীর্ঘ বিরোধের পর অ্যামেরিকার মার্কেটে বৃহস্পতিবার জুল ই-সিগারেটের অনুমোদন দিয়েছে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এফডিএ।
আইনপ্রণেতাদের অভিযোগ ছিল, তরুণদের মধ্যে ই-সিগারেট সেবন মহামারি আকারে ছড়িয়ে দিতে উৎসাহ জুগিয়েছে কোম্পানিটি।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়, এফডিএর বিধি অনুযায়ী, পণ্যটি যে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য যথোপযুক্ত, সেটি প্রমাণের দরকার ছিল ই-সিগারেট কোম্পানি জুল ল্যাবস ইনকরপোরেটেডের।
জুলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রায় ২০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ককে সিগারেট সেবন ছাড়তে সহায়তার মাধ্যমে অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তের অংশবিশেষ পূরণ করেছে কোম্পানিটি।
ই-সিগারেট সিস্টেম এবং মেনথল ও তামাক ফ্লেভারের ক্যাট্রিজ উভয়েরই অনুমোদন দিয়েছে এফডিএ।
ই-সিগারেটের স্বাস্থ্যগত প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ বেড়ে চললেও এগুলোকে সিগারেটের চেয়ে নিরাপদ মনে করেন বিশেষজ্ঞদের অনেকে।
জুলের প্রধান নির্বাহী কে.সি. ক্রসথওয়েট এক বিবৃতিতে বলেন, সিগারেটকে লুপ্ত করার পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এফডিএর আজকের এ অনুমোদন।
তার দাবি, ২০১৯ সাল থেকে অপ্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে জুলের পণ্য সেবন কমেছে ৯৮ শতাংশ।
ই-সিগারেট অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টির সমালোচনা করেন ইলিনয়ের ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সিনেটর ডিক ডারবিন।
তিনি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানান, জুল তরুণদের মধ্যে ভ্যাপিংয়ের মহামারি উসকেছে। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ই-সিগারেটের ক্ষতি নিয়ে মিথ্যাচার করেছে।
অনুমোদনের সিদ্ধান্তটি বাতিল করতে এফডিএ কমিশনার ডা. মার্টি ম্যাকেরির প্রতি আহ্বান জানান তিনি।