১ বছরের শিশুর কামড়ে বিষধর গোখরার মৃত্যু

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৮ ২০২৫, ৮:২১ হালনাগাদ: নভেম্বর ৭ ২০২৫, ১৭:৪০

এক বছর বয়সি গোবিন্দ। ছবি: টাইমস অব ইন্ডিয়া

এক বছর বয়সি গোবিন্দ। ছবি: টাইমস অব ইন্ডিয়া

  • 0

দুই ফুট লম্বা সাপটিকে খেলনা ভেবে ভুল করে ছোট্ট শিশুটি।

সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যু সাধারণ বিষয় হলেও মানুষের কামড়ে সাপের মৃত্যু অবাক করার মতো বিষয় বটে। তবে এর থেকেও বড় চমকে যাওয়ারর মতো ঘটনা হচ্ছে এক বছরের শিশুর কামড়ে মারা গেছে গোখরা সাপ।

এমনই একটি বিরল এবং আশ্চর্যজনক ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকলো বিহার। বিহারের চম্পারণ জেলার মোহছি বনকাটোয়া গ্রামে শুক্রবার বিকেলে একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে সাপ।

এসময় বাড়ির সামনেই খেলছিলো এক বছর বয়সি গোবিন্দ। দুই ফুট লম্বা সাপটিকে খেলনা ভেবে ভুল করে ছোট্ট শিশুটি। গোবিন্দোর দাদী মাতেশ্বরী দেবী সাপটিকে সরিয়ে ফেলার আগেই গোখরাটিকে কামড়ে ধরে গোবিন্দ। দুই ভাগ করে দেয় সাপটিকে। তৎক্ষণাৎ মারা যায় সাপটি। তবে কিছুক্ষণ পরেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে গোবিন্দ।

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, দ্রুত গোবিন্দকে নিকটবর্তী প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে (পিএইচসি) নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পর বেত্তিয়ায় সরকারি মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।

চিকিৎসকরা ঘটনাটিকে ‘অত্যন্ত অস্বাভাবিক’ বলে বর্ণনা করেছেন। মেডিকেল টিমের মতে, মনে হচ্ছে শিশুটির কামড়ের ফলে মাথা এবং মুখের আঘাত লাগায় গোখরাটি মারা গেছে। এদিকে, গোবিন্দের ওপর বিষের প্রভাব তুলনামূলকভাবে কম ছিল, যা তাকে অজ্ঞান করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট হলেও প্রাণঘাতী হওয়ার মতো যথেষ্ট ছিল না।

জিএমসিএইচের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সময়মতো চিকিৎসার ফলে গোবিন্দের জীবন রক্ষা পেয়েছে। শিশুটির অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল এবং চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে। মেডিকেল টিম শিশুটির চিকিৎসায় নিয়োজিত আছে। তাকে ক্রমাগত ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে এবং পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জিএমসিএইচের চিকিৎসক সৌরভ কুমার।

গোবিন্দর দাদি মাতেশ্বরী দেবী বলেন, ‘যখন কোবরাটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে, তখন তার মা কাঠ সংগ্রহ করতে বাইরে ছিলেন। আমরা যখন শিশুটির হাতে সাপটি দেখতে পেলাম, তখন সবাই তার দিকে ছুটে গেলাম। কিন্তু কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে সাপটিকে কামড়ে ধরে। ঘটনাস্থলেই সাপটি মারা গেল।’

সম্ভবত শিশুদের সব কিছু মুখে দেয়ার সহজাত প্রতিক্রিয়া হিসেবে গোবিন্দ সাপটিকে কামড় দেয়।

সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা সাম্প্রতিক সাপের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য ভারী বর্ষা বৃষ্টিপাত এবং অপরিকল্পিত নির্মাণকে দায়ী করেছেন, যার ফলে সাপগুলো তাদের প্রাকৃতিক আবাসস্থল থেকে আবাসিক এলাকায় স্থানান্তরিত হয়েছে।

শুধু জুলাই মাসে ভারতের গুরুগ্রামে ৮৫টি সাপ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে।