ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে ট্রাম্পের সুরেই কথা বললেন পুতিন

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭ ২০২৫, ৬:৫৭

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এনডিটিভি

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন। ছবি: এনডিটিভি

  • 0

ট্রাম্পের সাথে মস্কোতে দ্বিতীয় বৈঠকের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সাথে আলাস্কা বৈঠকের পর অনুষ্ঠিত যৌথ সংবাদ সম্মেলনে, ভ্লাদিমির পুতিন দাবি করেন, ট্রাম্প যদি ২০২২ সালে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট হতেন তবে ইউক্রেনে সংঘাত শুরু হত না।

ডনাল্ড ট্রাম্প বারবার দাবি করে আসছেন যে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় থাকাকালীন রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত এড়াতে পারতেন।

এনডিটিভি জানায়, পুতিন ট্রাম্পের দাবির প্রতি তার বিশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি বাইডেনকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন। সতর্ক করে বলেছিলেন, পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে যেন না যায়, যেখানে সামরিক পদক্ষেপ গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছায়।

পুতিন বলেন, ‘আমি আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে, ২০২২ সালে পূর্ববর্তী প্রশাসনের সাথে আমাদের শেষ যোগাযোগ হয়। সেসময়, আমি আমার পূর্ববর্তী অ্যামেরিকান সহকর্মীকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম, পরিস্থিতিকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া উচিত নয় যেখানে শত্রুতা তৈরি হবে। আমি তখন সরাসরি বলেছিলাম যে এটি একটি বড় ভুল সিদ্ধান্ত।’

এরপরেই তিনি ট্রাম্পের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন বলছেন, যদি তিনি তখন প্রেসিডেন্ট হতেন, তাহলে কোন যুদ্ধই হত না।

পুতিন আরও বলেন, ‘ট্রাম্প এবং আমি একটি খুব ভালো ব্যবসায়িক এবং বিশ্বাসযোগ্য যোগাযোগ স্থাপন করেছি। এবং আমার বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে যে এই পথে এগিয়ে গেলে আমরা ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারব - এবং যত তাড়াতাড়ি এটি সম্ভব হবে ততই ভালো।’

পুতিন ট্রাম্পের বন্ধুত্বপূর্ণ কথোপকথনের সুর নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, অতীতে অ্যামেরিকা-রাশিয়া সম্পর্ক কঠিন ছিল, তবে এখন পরিস্থিতি পুনর্গঠন করা প্রয়োজন।

ট্রাম্পের সাথে মস্কোতে দ্বিতীয় বৈঠকের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে পুতিন বলেন, ‘আমরা আশা করি কিয়েভ ও ইউরোপের রাজধানীগুলো এই বিষয়ে গঠনমূলক মনোভাব রাখবে এবং কোনো উস্কানি বা গোপন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে এই অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করবে না।’

পুতিন জানান, দুই নেতা একটি সমঝোতায় পৌঁছেছেন। তবে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। ট্রাম্প বলেছেন, তার রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বড় অগ্রগতি হয়েছে, অনেক বিষয়ে একমত হয়েছেন তারা। খুব কম বিষয় নিয়ে ঐক্যমতে পোঁছানো বাকী আছে।