একটি ব্লগ পোস্টে মঙ্গলবার মাইক্রোসফট জানায়, হ্যাকার গ্রুপটি স্টর্ম- জিরো ফাইভ ফাইভ এইট নামে পরিচিত। তারা পশ্চিম ইউরোপের সরকারি সংস্থাসহ প্রায় ২৫টি সংস্থার সঙ্গে জড়িত ইমেইল অ্যাকাউন্টগুলোর অ্যাক্সেস পেয়েছে।
অ্যাকাউন্ট হ্যাক হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর ইউজাররা তাদের মেইলে অস্বাভাবিক কার্যকলাপ সম্পর্কে মাইক্রোসফটের কাছে অভিযোগ করে। খতিয়ে দেখে হ্যাকিংয়ের বিষয়টি নিশ্চিত হয় প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।
মাইক্রোসফটের অভিযোগ, স্টর্ম- জিরো ফাইভ ফাইভ এইট হ্যাকাররা ইমেইল ইউজারের লগইন টোকেন জালিয়াতি করেছে। এই টোকেনগুলো ইউজারের পরিচয় যাচাইয়ে ব্যবহার করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, অ্যামেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি ডিপার্টমেন্ট ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফাসট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি পরিস্থতি মোকাবিলায় যৌথভাবে কাজ করছে। যেসব ইউজার হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছেন, তাদের অবহিত করা হয়েছে।
মাইক্রোসফট বলেছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি থেকে ব্যবহারকারীদের সুরক্ষিত রাখতে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
মাইক্রোসফটের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ সিকিউরিটি চার্লি বেল বলেছেন, ‘আমাদের ধারণা, গ্রুপটি গুপ্তচরবৃত্তির জন্য হ্যাক করেছে। মূলত তারা গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করতে ইমেইল সিস্টেমের অ্যাক্সেস নিয়েছে।’
অ্যামেরিকান কর্মকর্তাদের বরাতে ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, স্টর্ম- জিরো ফাইভ ফাইভ এইট অ্যামেরিকান সরকার সংশ্লিষ্ট ক্ল্যাসিফাইড ইমেইল অ্যাকাউন্টগুলোও হ্যাক করেছে।
এসব অভিযোগ নাকচ করে চায়নার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, চায়নার ওপর অ্যামেরিকান সাইবার হামলা থেকে ইউরোপিয় ইউনিয়নের নজর সরিয়ে নিতে এসব ‘বিভ্রান্তিকর’ তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।
একটি বিজ্ঞপ্ততিতে ওয়াং বলেন, ‘যে এজেন্সিই এ ধরনের অভিযোগ করুক না কেন, অ্যামেরিকা যে বিশ্বের সবচেয়ে বড় হ্যাকার রাজ্য পরিচালনা করছে তা মিথ্যা প্রমাণ করতে পারবে না। সবচেয়ে বেশি সাইবার চুরি করে অ্যামেরিকা।’
তিনি বলেন, ‘গত বছর থেকে চায়না ও অন্য দেশের সাইবার নিরাপত্তা সংস্থাগুলো চায়নার ওপর অ্যামেরিকার সাইবার হামলার প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। তবে এই দীর্ঘ সময়েও অ্যামেরিকা কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।’