ফাহিমের মামা সৈয়দ মোস্তাক আহমেদ শুক্রবার ইউএনবিকে এ তথ্য জানান।
বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা ফাহিম উচ্চশিক্ষার জন্য তিন বছর ধরে মন্ট্রিয়ালে বসবাস করছিলেন। মোস্তাক জানান, বাংলাদেশ সময় রোববার সন্ধ্যায় ফাহিমের মা তার ছেলের সঙ্গে শেষ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সোমবার সকাল থেকে আমার বোন ফোনে ফাহিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন। তিনি তাকে বারবার ফোন করেন এবং টেক্সট বার্তা পাঠান। কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো জবাব আসেনি। পরে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।’
পরে মন্ট্রিয়ালে ফাহিমের অন্যতম বন্ধু আরিফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবার এবং তাকে ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্টে যেতে অনুরোধ করা হয়।
ফাহিমের অ্যাপার্টমেন্ট ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পেয়ে আরিফুল স্থানীয় পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পর ফাহিমের মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।
মোস্তাক জানান, স্বজন এবং স্থানীয় বাংলাদেশিরা ফাহিমের মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। আগামী সপ্তাহে তা দেশে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।