তিনি জানান, দুই দেশের মধ্যে শীর্ষ পর্যায়ের আরও বৈঠক হবে। কারণ গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমেই আস্থা বজায় থাকবে এবং সম্পর্কের ক্ষয় ঠেকানো যাবে। অ্যামেরিকা-চায়না সম্পর্কের ফাটলকে তিনি ‘এ সময়কার সবচেয়ে পরিণতিমূলক ঘটনা’ বলে অভিহিত করেন।
ইয়েলেনের সংবাদ সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টা আগে চায়নার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, দুই পক্ষের মধ্যে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। তবে তাতে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে বাণিজ্যে বিধিনিষেধ আরোপের বাইডেন প্রশাসনের নীতির বিরোধীতাও করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘চায়না বিশ্বাস করে যে, সব কিছুর মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা টেনে আনা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক তৈরির জন্য অনুকূল নয়… বৈঠকে চায়নার পক্ষ থেকে অ্যামেরিকান নিষেধাজ্ঞা ও বিধিনিষেধমূলক পদক্ষেপের বিষয়ে উদ্বেগ জানানো হয়েছে।’
বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক শক্তির এই দুই দেশের মধ্যেকার তিক্ততা প্রশমনে কয়েক সপ্তাহ আগে চায়না সফর করেছেন অ্যামেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেইট অ্যান্টনি ব্লিনকেন। চলতি মাসের শেষের দিকে বৈশ্বিক উষ্ণতা সংক্রান্ত আলোচনার জন্য সেদেশে যাওয়ার কথা রয়েছে ইউএস স্পেশাল ক্লাইমেট এনভয় জন কেরি।
চায়নায় ইয়েলেনের সফরটি গত চার বছরে অ্যামেরিকান কোনো ট্রেজারি সেক্রেটারির প্রথম সফর। দুই দিনের সফরে তিনি চায়নার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের অধীনস্ত চার প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা হলেন, সেদেশের প্রিমিয়ার লি কিয়াং, ভাইস প্রিমিয়ার হে লিফেং, ফাইন্যান্স মিনিস্টার লিউ কুন ও পিপলস ব্যাংক অফ চায়নার পার্টি চিফ প্যান গোনশেং। তারা প্রত্যেকেই দেশটির অর্থনৈতিক নীতিনির্ধারণের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
তবে বৈঠকগুলোতে কোনো সফল আলোচনা বা চুক্তি হয়েছে কিনা- সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানিয়েই রোববার ওয়াশিংটনের উদ্দেশে রওনা দেন ইউএস ট্রেজারি সেক্রেটারি।
সফরের শুরুতে চায়নার সঙ্গে ‘সুস্থ অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতার’ আহ্বান জানান বাইডেন প্রশাসনের দ্বিতীয় শীর্ষ এই কর্মকর্তা।