টেক্সাসের ডালাসে ওয়াশিং মেশিন নিয়ে ঝগড়ার জেরে নৃশংস ভাবে খুন হন ভারতের চন্দ্রমৌলি নাগামাল্লাইয়া। পরিবারের সামনে গলা কেটে হত্যা করে ক্ষান্ত হননি অভিযুক্ত কিউবার যুবক। তার ধরহীন মাথায় লাথিও মারতে দেখা যায় হত্যাকারীকে।
ঘটনা তদন্ত করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত কোবোস মার্টিনেজকে। তিনি অবৈধভাবে অ্যামেরিকায় থাকছিলেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেরায় কোবোস দাবি করেছেন, তর্কের সময়ে তার সঙ্গে সরাসরি কথা বলছিলেন না হোটেলের ম্যানেজার চন্দ্রমৌলি। অন্য এক কর্মীর মাধ্যমে কথা বলছিলেন তিনি।
এতেই নাকি মাথা ঠিক রাখতে পারেননি অভিযুক্ত। রাগান্বিত হয়ে নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘটয়েছেন তিনি। এই অপরাধীর বিরুদ্ধে অতীতেও একাধিক অপরাধের মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
ঘটনার প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ডালাসের ছোট হোটেলের করিডোরে চন্দ্রমৌলিকে তাড়া করছেন কিউবান যুবক। পরিবারের সদস্যরা ভুক্তভোগীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। কোবোস তাকে ধরে ফেলে চাপাতি দিয়ে তার গলায় কোপ দেন। অন্য একটি সিসিটিভি ফুটেজে যায়, রাস্তায় চন্দ্রমৌলির কাটা মাথায় লাথি মারতে মারতে হেঁটে চলেছেন যুবক। তারপরে সেই মুণ্ড তুলে নিয়ে ফেলে দেন আবর্জনার পাত্রে।
৫০ বছর বয়সী চন্দ্রমৌলি আদতে কর্নাটকের বাসিন্দা ছিলেন। বেঙ্গালুরুর স্কুল এবং কলেজে পড়াশোনা করেন। ২০১৮ সালে অ্যামেরিকায় পাড়ি দেন। গত পাঁচ বছর ধরে ডালাসের একটি ছোট হোটেলে ম্যানেজারের কাজ করতেন তিনি। বন্ধুমহলে বব বলেই বেশি পরিচিত ছিলেন চন্দ্রমৌলি। তার স্ত্রী নিশা এবং ১৮ বছরের পুত্র গৌরবও ঘটনার সময়ে উপস্থিত ছিলেন সেখানে।