মৃত্যুদণ্ড নাকি ক্ষমা: ইয়েমেনে কী আছে ভারতীয় নার্সের ভাগ্যে?

টিবিএন ডেস্ক

প্রকাশিত: জুলাই ২৯ ২০২৫, ১০:৪৩

কেরালার নার্স নিমিশা প্রিয়া। ছবি: দ্য হিন্দু

কেরালার নার্স নিমিশা প্রিয়া। ছবি: দ্য হিন্দু

  • 0

প্রিয়ার ১৩ বছর বয়সি মেয়ে মিশেল মালায়ালাম এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই মাকে বাঁচানোর আকুল আবেদন জানান।

ইয়েমেনে অবস্থানরত ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর নিয়ে নাটকীয়তা বেড়েই চলেছে। ইয়েমেনি নাগরিক তালাল আবদো মাহদি হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর ২০২০ সালে নিমিশা প্রিয়াকে খুনের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড সাজা ঘোষণা হয়।

গত ১৬ জুলাই তার ফাঁসি হয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এ যাত্রায় ভারতের হস্তক্ষেপে ফাঁসি স্থগিত হয়। ভারতের গ্র্যান্ড মুফতি, কাঁথাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ারের অফিস সোমবার দাবি করে, ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের হাত থেকে প্রিয়াকে বাঁচানোর প্রচেষ্টায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

গ্র্যান্ড মুফতির কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, উচ্চ পর্যায়ের মধ্যস্থতায় আলোচনার পর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাহারের বিষয়ে একটি চুক্তিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তবে কর্মকর্তারা স্পষ্ট করে বলেছেন যে চূড়ান্ত সমাধানে পৌঁছানোর আগে আরও আলোচনা প্রয়োজন।

তবে ভারতীয় মুফতির এই দাবি সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করেছে ভুক্তভোগী তালাল আবদো মাহদির ভাই আব্দুল ফাত্তাহ মাহদি। সামাজিক মাধ্যমে পোস্টের মাধ্যমে প্রিয়াকে ক্ষমা করার খবর অস্বীকার করেন ফাত্তাহ। আলোচনার বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।

ইসলামী আইনের উদ্ধৃতি দিয়ে ফাত্তাহ বলেন, ‘খুনের মামলায় নমনীয়তা অনুমোদিত নয়।’ তালালের পরিবারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ না করায় মধ্যস্থতাকারীদের সমালোচনাও করেন ভুক্তভোগীর ভাই।

গ্র্যান্ড মুফতির প্রতিনিধিদের কথা উল্লেখ করে ফাত্তাহ প্রশ্ন তোলেন তারা কোন ইয়েমেনি সংগঠনের সাথে কথা বলেছেন? প্রিয়াকে ক্ষমা করার বিষয়ে পরিবারের অবস্থান স্পষ্ট করতে নিজের ফেসবুকে মালায়ালাম সংবাদ ক্লিপিংও শেয়ার করেছেন তিনি।

অপরদিকে ভারতের গ্র্যান্ড মুফতির অনুরোধে শেখ উমর হাফিজ থাঙ্গাল কর্তৃক নিযুক্ত ইয়েমেনি আলেমদে একটি প্রতিনিধিদলের সাথে ধারাবাহিক আলোচনার পর এই অগ্রগতির খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে গালফ নিউজ। এই আলোচনায় উত্তর ইয়েমেনের কর্মকর্তারা এবং আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন বলে জানা গেছে।

তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং কেন্দ্রীয় সরকার এখনও গ্র্যান্ড মুফতির দাবির বিষয় নিশ্চিত করে কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে সোমবার প্রিয়ার ১৩ বছর বয়সী মেয়ে মিশেল ও স্বামী টমি থমাস ইয়েমেনে পৌঁছেছেন। তাদের সাথে রয়েছেন গ্লোবাল পিস ইনিশিয়েটিভের প্রতিষ্ঠাতা ডঃ কেএ পল। প্রিয়ার ১৩ বছর বয়সি মেয়ে মিশেল মালায়ালাম এবং ইংরেজি উভয় ভাষাতেই মাকে বাঁচানোর আকুল আবেদন জানান।