রায়ে বিচারক লিখেছেন, ‘স্টেইট বা আদালতকে মাইকেল ফ্রাঙ্ক হত্যার মামলায় পিটিশনারকে পুনরায় গ্রেফতার, অভিযুক্ত বা কোনোভাবে সম্পৃক্ত করা থেকে বিরত থাকতে বলা হলো।’
গ্যাবেলর বোন ফ্র্যান্সিন সিনেট বলেন, ‘আমার ভাই ফোন করে জানাল যে অবশেষে এসব শেষ হয়েছে। সে খুবই উচ্ছ্বসিত। আমিও খুব খুশি হয়েছি। আমাদের ওপর থেকে বিশাল এক বোঝা নেমে গেল।’
ওরেগনের প্রিজন ডিরেক্টর মাইকেল ফ্রাঙ্ককে হত্যার মামলায় ১৯৯১ সালে গ্যাবেলকে দোষি সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। তবে সে সময় প্যারোলে থাকা ডাকাতির মামলার আসামি জন ক্রোউয নিজেকে ফ্রাঙ্কের হত্যাকারি বলে দাবি করেন।
ক্রোউয পুলিশকে জানান, ফ্র্যাঙ্কের গাড়ি চুরির করার সময় ফ্রাঙ্কের হাতেই তিনি ধরা পড়েন। পালানোর জন্য তিনি ফ্রাঙ্ককে কুপিয়ে জখম করেন। এতেই তার মৃত্যু হয়।
এই স্বীকারোক্তি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী থেকে শুরু করে নিজ পরিবার ও বান্ধবীকেও দিয়েছেন ক্রোউয। পরে অবশ্য তিনি অসুস্থ হয়ে মারা যান।
ঘটনার বেশ কয়েকজন সাক্ষী ২০১৯ সালে গ্যাবেলের পক্ষে ফের সাক্ষ্য দেন। ডিফেন্স ল-ইয়াররা আদালতকে জানান, আইনবহির্ভূত পদ্ধতিতে ও নষ্ট পলিগ্রাফ ব্যবহার করে সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তাদের বক্তব্যকে বিকৃত করা হয়েছিল।
এরপর পুন:তদন্তে দেখা যায় ক্রোউযের স্বীকারোক্তি এই মামলায় যুক্তই করা হয়নি।
ট্রায়াল কোর্টের বিচারকাজে ত্রুটি পাওয়ায় সে বছর গ্যাবেলকে কারাগার থেকে মুক্তি দেন বিচারক অ্যাকোস্টা। এরপর থেকে তিনি ফেডারেল নজরদারিতে ছিলেন।
অবশেষে হত্যা মামলা থেকে অব্যাহিত পেলেন গ্যাবেল।